মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকায় বুধবার (৩১ অক্টোবর ২০১৮) সন্ধ্যায় গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে নারী ও দুই শিশুসহ দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ২ শিশুর নাম রাজিয়া ও তামিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার উপজেলার খোশাল শাহ মাজার গেইটসংলগ্ন একটি তিনতলা ভবনের জনৈক সেলিমের মালিকানাধীন ভবনটিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘরে গ্যাসের লাইনের লিকেজ ছিল। এসময় আগুন জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে।
বিস্ফোরণে আহতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া আকতার (২৪), দুই শিশুপুত্র তামিম (৩) ও ইয়ামিন (১)। অন্যরা হলেন রুবি আকতার (১৪) ও রাজিয়া সুলতানা (১১)।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নারায়ণ ধর জানান, বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর ২০১৮) ভোর রাতে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিম ও রাজিয়া সুলতানা মারা যায়।
এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন আছেন ওই পরিবারের আরও ২ সদস্যসহ ৩ জন। তারা হলেন তানিমের মা সোনিয়া আক্তার (২৫), সোনিয়ার ১ বছর বয়সী মেয়ে মিম এবং প্রতিবেশি রুবি আক্তার (১৫) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রুবি আক্তারকে সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান নারায়ণ ধর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বাসাটি তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিস্ফোরক দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যে রিপোর্ট দেবেন, সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সোনিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি বাসার পাশে একটি কুলিং কর্নারের ব্যবসা করেন। বিকট শব্দে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী, দুই ছেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে আনেন তিনি। তিন বছর ধরে আনোয়ার নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামে এসে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। আগে পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন তারা।