সংবাদদাতা ।।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বর্শি দিয়ে মাছ শিকার করে বিক্রির মাধ্যমে যে টাকা আয় হয় তা হচ্ছে বিধবা ছালেহার (৫০) জীবনের একমাত্র অবলম্বন। ছালেহা নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল নাগরপুর গ্রামের মৃত মিন্নত আলীর স্ত্রী। ছালেহার স্বামী মিন্নত আলীর মৃতকালে বাড়ির ভিটা ছাড়া আর কিছুই রেখে যাননি। সন্তানাদি না থাকায় বড় সতীনের ৫ ছেলে বাড়ির সেই ভিটাটি দখল করে নিয়েছেন। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ছালেহা ভর দুপুরে নাগরপুর একটি খারীর বিলে ১১টি বর্শি পানিতে ফেলে মাছ শিকারের অপো করছেন। তার ছবি উঠাতে চাইলে ছালেহা বলেন, আমার ছবি দিয়ে আপনারা কি কাজ করবেন? পত্রিকায় ছাপানো হবে যেনে ছালেহা বলতে থাকেন তার জীবনের কাহিনী। ১৫-১৬ বছর আগে তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী ৫ পুত্র সন্তান রেখে মারা যান। তার পর ছালেহার বিয়ে হয় মিন্নত আলীর সঙ্গে। বছর পাঁচেক পর তার স্বামীর মৃত্যু হয়। সতীনের ৫ সন্তান বাড়িতে ঘর করে বসবাস করলেও তার জন্য কোনো ঘর রাখা হয়নি। ফলে একই গ্রামের শুকুর মাহমুদের ঘরে থাকতে হয় ছালেহাকে। ছালেহা বলেন, ‘আমি জীবন বাঁচাতে বর্শি দিয়ে মাছ শিকার করে যে টাকা আয় করি তার সাথে বিধবা ভাতা প্রতি মাসে ৩শ’ টাকা যোগ করে কোনো রকমে জীবনটা বাছাইয়া আছি। বাবা, পত্রিকায় ফটো ছাপলে সরকার আমাকে কি সাহায্য দিবে? তাইলে ছাপাইয়া দ্যান।’
বর্শিতে যার জীবন গাঁথা
