আজকাল অনেক মানুষকে খুব সহজেই হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এবং সব চাইতে ভয়ানক ব্যাপার হলো বেশ কম বয়সেই অনেকে হৃদপিণ্ডের এইসকল সমস্যায় পড়ে যান। এই সকল সমস্যা দিনে দিনে মানুষকে ঠেলে দেয় মৃত্যু মুখে।
কিন্তু নিজের হৃদপিণ্ডকে অসুস্থ করে তোলার পেছনে আপনার নিজের অনেক বড় হাত রয়েছে। আপনার প্রতিদিনের কিছু অস্বাস্থ্যকর কাজ আপনার হৃদপিণ্ডকে করে তুলছে দুর্বল। করছে মারাত্মক ক্ষতি।
(১) অনেকটা সময় ধরে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করতে থাকা অথবা একটানা টেলিভিশন দেখতে থাকা।
(২) মানসিক চাপের মধ্যে নিজেকে ইচ্ছে করে ধরে রাখা। কোনো কিছু নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকা। মানসিক চাপ মস্তিষ্ক এবং হৃদপিণ্ড দুটোর জন্যই মারাত্মক খারাপ।
(৩) মুখ অপরিষ্কার রাখা। অর্থাৎ মুখের যত্ন না নেয়া। মুখ অপরিষ্কার থাকলে মুখে যে ব্যাকটেরিয়া জন্মে তা হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করে।
(৪) প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস থেকে দূরে থাকা। সব সময় ঘরের ভেতর লাইট ও এসি ছেড়ে থাকা। প্রাকৃতিক আলো বাতাস দেহকে ক্ষতিকর টক্সিন মুক্ত রাখতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
(৫) এক জায়গায় একটানা বসে থাকা। ব্যায়াম কিংবা শারীরিক পরিশ্রম না করা। এতে করে শরীরে মেদ জমে এবং ধুরে ধীরে শরীর ও হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।
(৬) ধূমপান ও মদ্যপান অতিরিক্ত মাত্রায় করতে থাকা। এতে করে হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হতে থাকে প্রতিনিয়ত।
(৭) প্রয়োজনের অধিক খাবার খেয়ে ফেলা। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া যা ওজন বাড়ায় এবং ধমনীতে মেদ বাড়ায়।
(৮) গরুর মাংস এবং লাল মাংস অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলা। এতে করে কলেস্টোরল বেড়ে যায়।
(৯) শাকসবজি এবং ফলমূল নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো খাদ্য তালিকায় না রাখা। এতে করে হৃদপিণ্ড সঠিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।
(১০) অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাওয়া। লবণ এবং বিশেষ করে কাঁচা লবণ খাওয়া হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
(১১) অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। এবং পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খাদ্য তালিকায় রাখা।
(১২) কোনো টানা ঔষধ সেবনের মাঝে বিরতি কিংবা ডোজ পূর্ণ হওয়ার আগেই ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়া।
(১৩) স্বাস্থ্যের প্রতি নজর না রাখা। নিয়মিত চেকআপ না করিয়ে ভেবে নেয়া অনেক সুস্থ আছি। এবং অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করে ফেলা।