আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুন ২০১৮) ছাত্রদলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. মারুফ মিয়াকে প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল দুপুরে কমিটির সহসভাপতি শোয়েব সাদেকীন ওরফে বাপ্পীর নেতৃত্বে ছাত্রদলের একাংশ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের শোলাকিয়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে গৌরাঙ্গবাজার আসতেই পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মিছিলকারীরা ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শোয়েব সাদেকীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী ও মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রদলের কর্মী ইমন হাসান, মো. মাজহারুল, নাঈম ইসলাম, কিবরিয়া আলম, মেহেদী হাসান, মাসুম মিয়া, মো. রিদম, হীরা, রিপন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদকারীরা দাবি করেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি মারুফ একটি ধর্ষণ মামলায় ৭ মাস কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া মারুফ দুই সন্তানের জনক এবং তার এক মেয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তিনি টাকার বিনিময়ে সভাপতির পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। কোনো ধর্ষক ছাত্রদলের সভাপতি হতে পারেন না।
তারা মনে করেন, এ রকম একটি লোককে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তারা এ বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং অবিলম্বে কমিটি থেকে মারুফের প্রত্যাহারের দাবি করেন। অন্যথায় তারা আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে মারুফ মিয়া বলেন, এসব তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র। তিনি বিবাহিত জেনেই দল তাকে সভাপতি বানিয়েছে। এ ছাড়া তিনি দলের দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকার ফলেই তাকে সভাপতির পদ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসানের যৌথ স্বাক্ষরে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ৫৮ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
সূত্র : প্রথম আলো, ২২ জুন ২০১৮