সংবাদদাতা ।।
পাওয়ার পাম্প স্কিমের ম্যানেজার পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে উভয় পক্ষের ৩৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ৯ অক্টোবর অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নূরপুর জামালপুর টেকেরঘাট সেচ প্রকল্পে আজিজুর রহমান নামে একজন দীর্ঘদিন যাবত ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছেন। নতুন করে একই পদে বুলবুল মিয়া নামে আরেকজন প্রতিদ্বন্দ্বীর সৃষ্টি হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে এলাকার কৃষকরাও দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে ঘটনার আগের দিন আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ও চেয়ারম্যান ফজলুল করিম বাদল মীমাংসার চেষ্টা করেন। এবং উভয়পক্ষের লিখিত সম্মতিতে লটারির মাধ্যমে বুলবুল মিয়াকে ম্যানেজার নির্বাচিত করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় বাজারে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা তর্ক-বিতর্ক হয়। এর জেরে সোমবার সকালে নূরপুর, জামালপুরের দুই গ্রুপের লোকজন দা, লাঠি, হলংগাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে-অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরীসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নূর-এ-আলম ভর্তির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন : আজিজুর রহমান গ্রুপের লতিফা (২২), আরিফা (২৫), আমিনুল (২২), হাবিবুল্লাহ (২০), জহিলা (২৫), মুখলেছ (২৮), মোশারফ (১৯), দুলাল (২৪), মুক্তার (২২), সাঈদু (২৩), বাদন (২২), লিটন (২০), আল-আমিন (১৬), শাহজাহান (২৫), তৌফিকুল (২২), রাশেদ (২৬) এবং বুলবুল গ্রুপের লতিফ (৩৮), জয়নাল (৪২), জুয়েল (২৪), ইছমাইল (৩০), আসাবু (২৮), তানিয়া (১৮), বিলকিছ (২২), মাসুক (২৮), বুলবুল (৬৫), তারা মিয়া (২২), কবির (৩২), সাদিকা আক্তার (১০), কাওসার মিয়া (২২), শাহজাহান (৩০), জুয়েল (২৫), মন্নাফ (৩৫), সজিবুর (৩৫) ও মাইন উদ্দিন (৪০)।
চেয়ারম্যান ফজলুল করিম বাদল জানান, আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদে বসেই উভয়পরে লিখিত সম্মতিতে ম্যানেজার নির্বাচিত হয়। সকালে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি নিজেই গিয়ে সমাধান করি। এরপর মারামারি শুরু হয়। অনেকেই হবিগঞ্জ, বানিয়াচং, মাদনা গিয়ে ভর্তি হয়েছেন, কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃ মোহসিন উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। অষ্টগ্রাম থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম মোল্যা জানান, ঘটনাটি শুনেছি। কোনো পই অভিযোগ নিয়ে আসেননি।