আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
করিমগঞ্জে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামে রোববার (১১ নভেম্বর ২০১৮) বিকালে এই পাশবিক ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ধর্ষক রোহাগ মিয়াকে (১৮) আটক করেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা পানের আড়তে কাজ করে পরিবারের ভরণ-পোষণ করেন। শিশুটির মা মাটিকাটার কাজ করেন।
ধর্ষক রোহাগ মিয়া দেওপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে শৈশব থেকেই থাকে। তার নানার নাম হামিদ মিয়া। রোহাগের বাবার নাম লিটন মিয়া। ধর্ষক রোহাগ মিয়া মাছের আড়তে কাজ করে।
পরিবার জানায়, রোববার (১১ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি তার বান্ধবীর সাথে পাশের বাড়িতে খেলতে যায়। তখন রোহাগ মিয়া শিশুটিকে কৌশলে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে সেখানে আটকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষক রোহাগ মিয়া পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় শিশুটিকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। শিশুটি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে রোববার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর শিশুটির বাবা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর রাতে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় ধর্ষক রোহাগকে আটক করে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান জানান, ধর্ষক রোহাগকে আটকের পর সোমবার (১২ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : কিশোরগঞ্জ নিউজ, ১২ নভেম্বর ২০১৮