সিংপুরের ধনু নদী ও আশপাশে ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

ধনু নদীতে দীর্ঘদিন যাবত ট্রলার নিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা নির্বিঘ্নে ডাকাতি করে যাচ্ছে। ডাকাতরা দুই-তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে দ্রুতগতি ও কম শব্দের ট্রলার ব্যবহার করে ডাকাতি পরিচালনা করছে। মাছধরার ট্রলার, যাত্রীবাহী ট্লার বা ব্যবসায়ী ট্রলারে তারা ডাকাতি করে। ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে জলমহালের পাহারাদারদের ট্রলারে হানা দিয়ে তাদের পুরাতন লুঙ্গি, গামছা থেকে শুরু করে প্রায় সবই নিয়ে যায়।

আক্রান্ত এক ব্যক্তি এই প্রতিনিধিকে জানান, সবকিছু নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের অনেক অনুনয় বিনয় করে মোবাইলে থাকা সীমকার্ডগুলো রাখি। ৩ ডিসেম্বর রাতে মাছধরার ট্রলার ও পাহারাদারদের নৌকায় হানা দিলে তাদের আর্ত-চিতকারে নদীপাড়ের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন সিংপুরে খবর পাঠায় তারা ডাকাতদলের সন্ধান পেলে যেন বাধা দেয় ও এলাকাবাসীও ট্রলার নিয়ে বের হয়। ডাকাতদের নৌকা বেশি গতিসম্পন্ন হওয়ায় তাদের ধরতে পারেনি।

বর্ষা শেষে এলাকার কৃষকগণ ও জিরাতি কৃষকগণও আসছে হাওরে হাল-চাষ, জমি জোত করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে সবাই ডাকাতের আতঙ্কে আতঙ্কিত। আশপাশ এলাকায় ডাকাতিকালে তারা অন্যদের জীবননাশের হুমকি ধমকি দিয়ে যায় যেন চিতকার না করে।

তাদের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে চায় না। হাওরে চাষাবাদ করতে হলে তাদের কথা মেনেই চলতে হবে, না হয় নির্ঘাত মৃত্যু। নদীরপাড়ের লোকজন, এলাকার কৃষক, হাওরের জিরাতি, ইজারাদার ছাড়াও নৌপথে ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন এলাকার লোকজনের দাবি, নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নৌ-টহল পুলিশ দেয়ার জন্য।

ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসে। অনেক সময় আগ্নেয়াস্ত্রও থাকে তাদের সাথে। এলাকাবাসী অনেকের সাথেই কথা হয়। কিন্তু নাম প্রকাশ করতে সাহস দেখাননি। সবাই কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তির জন্য সহযোগিতা চান।

Similar Posts

error: Content is protected !!