আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আসামির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ এবং দুর্নীতি অনুসন্ধানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এ কে এম ফজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।
দুদক সূত্র জানায়, ফজলুল হক ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি বন বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ১৩ মাস সময় নিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার গোপন আঁতাত হয়। ওই অভিযোগের অনুসন্ধান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি বেআইনিভাবে এক কর্মচারীর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির হাতে দিয়েছিলেন ফজলুল হক। গত ১৪ জানুয়ারি দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় নথি প্রদানের বিষয়টি হাতেনাতে ধরেছেন।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, খারাপ কাজ করলে বরখাস্ত হতেই হবে। এ কর্মকর্তা সদ্যই পদোন্নতি পেয়েছেন, তারপরও তাকে ক্ষমা করা হয়নি। অন্যায় যারাই করবে, তারা কমিশনের নজরে আসবে, তাদের বহিষ্কার করা হবে।
কমিশন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কোনো তালিকা করছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কোনো তালিকা করা হচ্ছে না। চলমান কাজে যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, দুদকের অভ্যন্তরীণ সুশাসনে কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার অপরাধের দায় বহন করতে হবে।
গত এক বছরে বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের ৬-৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সূত্র : সমকাল, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

