ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে ভূমি দপ্তরের সেবার অপর নাম আলপনা ইয়াসমিন। এসিল্যান্ড হিসেবে ধামইরহাট উপজেলায় যোগদান করেন ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি। যোগদানের পর পরই সেবাপ্রার্থীদের দিকে নজর দেন। নামজারী, খাজনা ইত্যাদি বিষয়ে গ্রাহকদের হয়রানী দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেন।
অফিসে অপেক্ষমান সেবাপ্রার্থীদের বারান্দায় বসার আধুনিক ব্যবস্থা করেন এবং দালালের হাতে টাকা না দিতে অনুরোধ করেন। বাহিরে অপেক্ষমান প্রত্যেককে ডেকে অভিযোগ শুনে সেবাদান করেন।
ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ জানান, অফিস সময় পার হয়ে সন্ধ্যা হলেও অপেক্ষমান সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ ও শুনানী গ্রহণ করে থাকেন। উপজেলা গোড়াইতাড়া গ্রামের “পাগলী” নামে পরিচিত আছিয়া খাতুন জানান, আমার জমি অন্যরা জবরদখলে হুমকি দিয়ে থাকে। আমি পাগল বলে বছরের পর বছর কেউ আমার কথা শুনে না। কিন্তু আলপনা স্যার বিনা খরচে জমি খারিজ করে দিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ও ধামইরহাট উপজেলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান বলেন, নির্লোভ এসিল্যান্ড আলপনা ইয়াসমিন শুধু ভূমি সেবাতেই ক্ষান্ত থাকেননি, ইউএনও স্যারের পরামর্শে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বালুমহাল রক্ষা, বেকারী কারখানা, ওষুধের দোকান, মুদি দোকান, হোটেলসহ যথাযথ আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অন্যায় সুবিধা আদায় করতে অর্থের লোভ দেখিয়ে সুবিধাবাদীরা ধোপে টিকতে পারেনি এমন খবরও পাওয়া গেছে।
সরকারি কার্যক্রম এসিল্যান্ড আলপনা ইয়াসমিনের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইচ্ছা থাকলেও কাজের ধরন ও মাত্রা পর্যাপ্ত হওয়ায় সব সময় শতভাগ পূর্ণ সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। তারপরেও সময় নষ্ট না করে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করি এই কারণে যাতে করে শেষ পর্যন্ত সেবাপ্রার্থীরা সন্তুষ্ট হন। আর তাহলেই সরকারের উদেশ্য সফল হবে বলে মনে করি।
ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান বলেন, এসিল্যান্ড আলপনা ইয়াসমিন-এর ধামইরহাটে যোগদানের পর অদ্যাবধি তার কাজের মান ভাল, সেবাগ্রহিতারা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সরকারি কর্মকর্তারা এমন হলে বাংলাদেশ একদিন সোনার দেশেই পরিণত হবে।