মহিবুর রহিম ।।
কিশোরগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত একটি খরস্রোতা বৃহৎ নদী ঘোড়াউত্রা। নদীটি ইটনা, মিঠামাইন, নিকলী, বাজিতপুর ও কুলিয়ারচর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরবের সন্নিকটে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। উজানের বেশ কয়েকটি নদী মিলিত হয়ে ঘোড়াউত্রা নাম ধারণ করে একটি বৃহৎ নদীতে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি সূত্রের তথ্য মতে এ নদীর গতিপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। বেশ কয়েকটি বৃহৎ হাওর, জনপদ বা অঞ্চল পাড়ি দিয়ে বয়ে চলেছে এ নদী। এক সময়ে উজানে এর নাম ছিল বাউলাই। এর অপর একটি শাখা ধনু নামে অষ্টগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে।
অন্তত হাজার বছর ধরে ঘোড়াউত্রা নদীর প্রবহমানতার কথা স্মরণ করা যায়। আদিতে ভাটি অঞ্চল বা হাওর অঞ্চল ছিল কালীদহ সায়রের অংশ। ধীরে ধীরে এসব অঞ্চলে নদীবাহিত পলি ও বালি সঞ্চিত হয়ে জেগে উঠে সমতলভূমি। এ ভূমিতে সৃষ্টি হয় অসংখ্য নদী। তাদেরই একটি এই ঘোড়াউত্রা। এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে শত শত গ্রাম-জনপদ। এসব জনপদের মানুষজন আদিতে কৃষি ও মৎস্যজীবী। প্রাকৃতিক জীবননির্ভর এসব পেশাতেই তারা এক সময় বেশ সমৃদ্ধ স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন যাপন করেছে। কিন্তু বর্তমানে তারা আছে নানাবিধ সমস্যায়। যুগের পরিবর্তনে, প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় এসব সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এখানে অধিকাংশ মানুষ এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। আবাসন, শিক্ষা, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা মৌলিক চাহিদার সব দিক থেকেই এখানকার মানুষ বঞ্চিত। তার সাথে যুক্ত হয়েছে প্রায় প্রতিকারহীন নিত্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশেষত অকাল বন্যায় ফসলহানী, বর্ষার জলোচ্ছ্বাসে নিত্য ক্ষয়ক্ষতি, নদী ভাঙ্গন প্রভৃতি প্রায় লেগেই আছে।
বিশেষত খরস্রোতা ঘোড়াউত্রা নদীর ভাঙ্গনে এ অঞ্চলের প্রায় চার-পাঁচটি উপজেলার মানুষজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রাকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। অভিজ্ঞমহলের মতে তার আশু সমাধান প্রয়োজন।
নদী বিশেষজ্ঞদের মতে নদী তার তীরবর্তী জনপদ ভাঙ্গবেই। তবে নদীর গতিপথ যদি সোজা হয়, সে নদীর ভাঙ্গন হয় সামান্য। কিন্তু নদী যখন বাঁক নেয় তখন এর গতিপথে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে নদী তার তীরবর্তী জনপদ ভাঙ্গে বিপুল গতিতে। আদিতেই ঘোড়উত্রা একটি খরস্রোতা নদী। এ নদীতেও কালক্রমে বেশ কয়েকটি বাঁকের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে বহু স্থানে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীরবর্তী গ্রাম ও ফসলি জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষি ও মৎস্যজীবী মানুষের জন্যে এটি একটি বড় রকমের ক্ষতি। কেননা এখানকার অনেক মানুষেরই সামান্য একটু ভিটাবাড়ি অথবা কৃষি জমিই ভরসা। সেটুকু নদীতে ভেঙ্গে গেলে তারা সর্বসান্ত হয়ে পড়ে। বাঁচার অবলম্বনটুকু হারিয়ে ফেলে। এসব মানুষেরাই শেষে গ্রাম ছেড়ে শহরের বস্তিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। দেখা যায় এমনটিই ঘটছে এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষেত্রে।
ঘোড়াউত্রা নদীর গতিপথ ঘুরে দেখা গেছে, নিকলী উপজেলার প্রবহমান অংশে এ নদী সবচেয়ে বড় বাঁকটি নিয়েছে। এ বাঁকের সৃষ্টি হয়েছে ১৯৪০ সালের কিছু আগে বা পড়ে। যার ফলে এই খরস্রোতা নদীটি আগ্রাসী রূপ ধারণ করে। দুই পাড়ের জমি জমা নিশ্চিহ্ন করতে থাকে। এ ভাঙ্গন বর্তমানে দেড় দুই কিলোমিটার জমিজমা গ্রাস করে বর্তমানে নিকলী বেড়িবাধের সন্নিকটে পৌঁছে গেছে। অপরদিকে উপজেলার সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ছাতিরচর ইউনিয়নটি সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে চলেছে এই ঘোড়াউত্রা নদী। অভিজ্ঞজনদের ভাষ্যমতে ছাতিরচর আদি গ্রামটির প্রায় ৭০ ভাগ ভূমি এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার একর উর্বর কৃষিজমিও নদী ভাঙ্গনে নিঃশেষ হয়েছে। প্রায় ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে এখানকার মানুষজন। শুধু ছাতিরচরই নয় সিংপুর, ঘোড়াদিঘা, আসানপুর, দীঘিরপাড়, কামারবালি, মাইজচর পর্যন্ত এ নদী ভাঙ্গনের তাণ্ডব দেখা মেলে।
একজন নদী বিশেষজ্ঞের ভাষ্যমতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর বাঁক নেয়া অংশ সোজা করে দেয়া হলে এর দুই পাড়ের ভাঙ্গন সহনীয় মাত্রায় চলে আসে। স্রোতের গতি বাঁধা না পেলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহও ঠিক থাকে। যার ফলে অকাল বন্যা ও ফসলহানী রোধ করা সম্ভব হয়। ঘোড়াউত্রা নদীর বাঁক নেয়া অংশটিও খুব দীর্ঘ নয়। এই অল্প কিছু এলাকা ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ স্বাভাবিক করে দেয়া গেলে অত্র অঞ্চলের মানুষ ব্যাপক উপকৃত হতো। ফলে এই হাওর এলাকায় উন্নয়নও ঘটতো যথেষ্ট পরিমাণে।
বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে জানা যায়, আজ থেকে ষাট বা সত্তর বছর পূর্বেও এ অঞ্চলের মানুষ দু’টি ফসল করতে পারতো অনায়াসে। বোরো ধানের পরে পাট ও বর্ষায় ধান ফলতো। বর্ষাকালে এখন যেখানে ২০ বা ৩০ ফুট পানি থাকে হাওরে, সেকালে এখানে দুই থেকে তিন ফুটের বেশি পানি হতো না। ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যে রেললাইন স্থাপিত হয় তার ফলে এ অঞ্চলের শত শত সংযোগ নদী মৃত নদীতে পরিণত হতে থাকে। বিশেষত আদি খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্রের সাথে যে নদীসমূহ সংযোগ নদীরূপে ছিল সেগুলো কালক্রমে মৃতনদী বা বিলীন নদীতে পরিণত হয়। এর মধ্যে নরসুন্দা বা তেজখালী নদীর কথা বলা যায়। এ নদীগুলো ঘোড়াউত্রা নদীর সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রের সংযোগ রূপে কাজ করতো। রক্ষা করতো নদীর পানি প্রবাহের স্বাভাবিকতা। ভৈরব, কুলিয়ারচর, কটিয়াদি ও বাজিতপুরে এমন অনেক নদী ছিল কালক্রমে সেগুলো বিলীন হওয়ায় হাওর এলাকায় নদীগুলোতে পানি প্রবাহের চাপ বৃদ্ধি পায়। এখন পুরো ভাটি অঞ্চলের পানি সঞ্চালনে একমাত্র মেঘনা নদী সক্রিয় সংযোগ নদী হিসেবে টিকে আছে। যার ফলে পুরো হাওর অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যা প্রতি বর্ষাকালে বিপজ্জনক রূপ ধারণ করে। পুরো ছয় মাস ভাটি অঞ্চলের মানুষ গ্রামের ভিটেবাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে কৃষিকাজ একেবারেই চলে না। যা হাওর অঞ্চলের মানুষদের স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
হাওর অঞ্চল নামে খ্যাত নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখনো অর্ধশতাধিক নদী প্রবহমান আছে। এই সমস্ত নদীর পানি প্রবাহের একমাত্র পথ মেঘনা নদী হওয়ায় বৃহত্তর এলাকায় একটা পরিবেশগত বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। যা অত্র অঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়। যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন তারা বিষয়টি গবেষণা করে দেখতে পারেন। এই পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার ঘোড়াউত্রা তীরের মানুষেরাও। এখনো অন্তত ১২টি নদীর স্রোতের ধারা ঘোড়াউত্রা নদীতে এসে মিলিত হচ্ছে। যার ফলে এর স্রোতের ধারায় দেখা দেয় অস্বাভাবিকতা। এই অস্বাভাবিকতাই নদীর বাঁক নেয়া এবং ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। যার দুর্বিসহ পরিণতির শিকার হচ্ছে হাওর অঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত সাধারণ মানুষেরা। সুতরাং এর আশু প্রতিকারও এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। যার সূচনা ঘোড়াউত্রা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
ঘোড়াউত্রা নদীর নিকলী উপজেলার অংশে যে বৃহৎ বাঁকটি লক্ষ্য করা যায়, তা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সোজা করে দেয়া গেলে প্রায় ভৈরব পর্যন্ত জনপদের মানুষ এর সুফল পাবে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর গতিপথ সোজা করে দেয়া হলে এর ভাঙ্গনের মাত্রাও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে। নদী ফিরে পায় চলার স্বাভাবিকতা। নদীর পানি প্রবাহের বাঁধাগুলো দূর হয়। যার ফলে পানির অতিরিক্ত চাপে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তা কিছুটা হলেও কমে।
ঘোড়াউত্রা নদীর ভাঙ্গন রোধ এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দাবি। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কখনোই সুবিবেচনায় নেয়নি। যার ফলে গত ত্রিশ-চল্লিশ বছরে এ অঞ্চলে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও ঘটে গেছে। অনেক লোকজন সহায় সম্পদ হারিয়ে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অত্র অঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত হয়েছে- “আগুনে পুড়লে ছাঁই থাকে কিন্তু নদীতে ভাঙলে কিছুই থাকে না।” ভুক্তভোগী মানুষেরাই কেবল তা উপলব্ধি করতে পারেন। সুতরাং হাওর অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের রক্ষাকল্পে নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। আর তার ভাল একটি সমাধান হতে পারে নদীর বাঁক ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গতিপথ সোজা করে দেয়া। ইতোমধ্যে অনেক বিকল্প পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, কিন্তু কোন কিছুরই ভালো সুফল পাওয়া যায়নি। তাই পুরো জনপদের মানুষের দাবি, ঘোড়াউত্রা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ করা হোক। সুরক্ষা দেয়া হোক নদী তীরের চির অবহেলিত মানুষগুলোকে। এখানে নদী ড্রেজিংয়ের ফলে কিছু অতিরিক্ত সুবিধাও পাওয়া যেতে পারে। যেমন নদী ড্রেজিংয়ের ফলে আহরিত মাটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোকে দেয়া হলে মানুষজন নতুন করে আবাসভূমি গড়ে নিতে পারবে। যা হাওর অঞ্চলের মানুষের একটি বড় সংকট। এখানকার গ্রামগুলোতে বর্ষাকালীন কোনো মাঠ নেই, খোলা জায়গা নেই। প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গড়ার মতো কোনো স্থান নেই। এটাই হাওর এলাকার সচরাচর চিত্র। ঘর-বাড়িগুলো বস্তির মতো ঠাঁসা। চলাচলের উপযুক্ত কোনো রাস্তা পর্যন্ত নেই! এমন পরিস্থিতিতে নদী ড্রেজিংয়ের দ্বারা আহরিত মাটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোকে দেয়া হলে মানুষজন নতুন আবাস গড়ে নিতে পারে। রাস্তা বা মাঠ গড়ে তোলা যায়, যা এ সমস্ত গ্রামবাসীর জন্যে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মতোই প্রয়োজনীয়। অথচ ড্রেজিংয়ের মাটি অপরিকল্পিতভাবে নদীতে বা জলাশয়ে ফেলে আরও বড় সমস্যা তৈরি করা হয়!
নদী ড্রেজিংয়ের বিষয়ে অনেক পরিবেশবাদী বন্ধুরা না বুঝেই দ্বিমত পোষণ করেন। আমি তাদের যুক্তিগুলো বহু বছর ধরে ভেবে চিন্তে দেখেছি। যা কিছুতেই বাস্তবসম্মত নয়। হাওর অঞ্চলের নদীগুলো পদ্মা, যমুনা বা চাঁদপুরের মেঘনার মতো নয়। হাওরের পরিবেশ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানকার নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে একসাথে অনেকগুলো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। যেমন হাওর বিশেষজ্ঞ ড. নিয়াজ পাশার সমন্বিত গ্রাম সৃজন। গ্রামগুলোকে কেন্দ্র করে একটি বহুমুখী বাজার তৈরি। যেখানে ভালসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখানে স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খেলার মাঠ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের মানুষের ৬০ ভাগ সমস্যা দূর করা যায়!
ঘোড়াউত্রা তীরের নদী ভাঙ্গনে সর্বসান্ত আর পরিবেশগত কারণে বিপর্যস্ত মানুষদের জন্যে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প শীঘ্রই গ্রহণ করা যেতে পারে। কেননা তার ফলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত মানুষজন বাঁচার নতুন আশ্বাস খুঁজে পাবে। হাওর অঞ্চলের মানুষজন এমনিতেই পরিশ্রমী। শস্য উৎপাদন আর মাছ ধরায় তারা দিনান্ত পরিশ্রম করে থাকে। একটু আশ্রয় আর কর্মের নির্ভরতা পেলে তারা নিশ্চিত নতুন দিনের স্বপ্ন দেখবে। শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা অনেক কমে আসবে। পুরো বর্ষাকাল জুড়ে হাওরবাসীর মন্দা দিনের অবসান হবে। যারা হাওর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন তাদের ভাবনায়ও এমনটাই উঠে এসেছে।
এখন প্রয়োজন কয়েকটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণ। এর জন্যে ঘোড়াউত্রা নদী ড্রেজিং করে সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোকে নদী ভাঙ্গন থেকে সুরক্ষা দান, ড্রেজিংয়ের মাটি গ্রামের পাশে ফেলে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসনের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি। সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হতে পারে অন্যান্য পরিকল্পনাগুলো। হাওরবাসীর খুব বেশি দাবি নেই। বিপুল অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজনও নেই। তাদের পায়ের নিচের সরে যাওয়া মাটিটুকু রক্ষা করতে সহায়তা করুন। তারা আগের মতোই জাতিকে দিতে পারবে মূল্যবান সম্পদের সংস্থান।
মহিবুর রহিম : কবি ও গবেষক।