সাফায়েত ইসলাম নূরুল ।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়া গং ও নিকলী উপজেলার চারিগাতি গ্রামে জজ মিয়া গংদের মাঝে দু’দফা সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। গুরুত্বর আহতের মধ্যে বজলু মিয়াকে (৫৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জামাল মিয়া (৫০), পারুল আক্তার (৪৫), আশিক মিয়া (১৮), মুখলেছ মিয়া (৩৫), আয়রন মিয়াকে (২২) বাজিতপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় সোমবার দুপুরে কুতুবপুর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী চারিগাতি গ্রামের জজ মিয়ার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোঃ আমরুজ্জামানের বাড়িঘর, বাহাউদ্দিন মেম্বারের বাড়ি, জুনায়েদ ভূইয়ার বাড়ি, জামাল উদ্দিন ভূইয়ার বাড়ি এবং শাহজাহান মিয়ার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে ৮-১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ৪-৫টি গরু লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা হবে বলে গ্রামবাসীরা ধারণা করছেন।
এদিকে গত রোববার দুপুরের দিকে কুতুবপুর গ্রামের এক কৃষকের গরু জজ মিয়ার বাড়িতে একটি গাছ খেতে গেলে তার লোকজন গরুটিকে লাঠি দিয়ে ৪-৫টি আঘাত করে। এ ঘটনায় চারিগাতি গ্রামের জজ মিয়ার লোকজনের হামলায় কুতুবপুর গ্রামের ৭জন আহত হয়। অন্যদিকে সোমবার দুপুরে কুতুবপুর গ্রামের শতাধিক লোকজনের হামলায় চারিগাতি গ্রামের ১৫ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে জজ মিয়া (৬০), সবুজ মিয়া (৩৫), সামিনা আক্তার (১৫) ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মিজানুর রহমানকে (১২) নিকলী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় নিকলী থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাজিতপুর থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান পাটুয়ারী ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।