বিশেষ প্রতিনিধি ।।
নিকলী উপজেলার অবহেলিত এক জনপদের নাম ডুবি গ্রাম। এটি সিংপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত এবং নিকলী উপজেলার সর্ব উত্তর-পূর্বের একটি ওয়ার্ড। এলাকাটিতে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে সমসাময়িক উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া এই অঞ্চলটিতে দেখা যায় না। সব মিলিয়ে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ডুবি গ্রামের কর্মহীন মানুষদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
নিকলী উপজেলাকন্দ্রিক প্রথম অনলাইন সংবাদমাধ্যম “আমাদের নিকলী ডটকম“ নিজেদের সূত্র মারফত জানতে পারে, ডুবি গ্রামের কিছু অসচ্ছল পরিবারের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। নিজস্ব অর্থায়ন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দেয় সহযোগিতায় বুধবার (২২ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমটির প্রতিনিধিদল খাদ্যসামগ্রী মাথায় করে কাঁদা-পানি ভেঙ্গে গ্রামে গিয়ে নির্দিষ্ট পরিবারগুলোর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে।
এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। করোনা পরিস্থিতির কারণে কৃষিনির্ভর অসহায় ও দরিদ্র মানুষগুলো বেকার হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অসহায় মানুষগুলো খুবই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। সরকারিভাবে কিছু প্রণোদনা বা ত্রাণ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতেও এই অবহেলিত জনপদে বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাদের পাশে এসে এখনো দাঁড়ায়নি।
করোনা কী! এর ভয়াবহতার প্রভাবও (মানসিকভাবে) খুব একটা অত্র এলাকায় লক্ষ্য করা যায়নি। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে খুব একটা প্রচারণাও এখানে চোখে পড়েনি। কিছুটা জানতে দেখা যায় শহরে যাতায়াত থাকা কিছু যুবা-তরুণদের মাঝে। তবে উপার্জনের পথ বন্ধ থাকায় খাদ্যসঙ্কট রয়েছে বেশ।
“আমাদের নিকলী ডটকম“-এর বুধবারের উপহার সামগ্রী বিতরণে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আলমগীর হোসেন ইমরান, গোলাম রাব্বীর রনি, কারার ইমরান মাহাদী নিয়ন এবং ডুবি গ্রামের মোঃ মোমেন, মোঃ কাঞ্চন মিয়া ও জুয়েল মিয়া। উল্লেখ্য, প্রতিনিধিগণ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে বিতরণ কাজে অংশগ্রহণ করছেন। “আমাদের নিকলী ডটকম“-এর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সাধ্যমতো চলমান থাকবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : “আমাদের নিকলী ডটকম“-এর সম্পাদকীয় নীতিমালা খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে গ্রহিতাদের ছবি/ ভিডিও ধারণ সমর্থন করে না। তবে সামর্থ্যবান অন্যান্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনকে উৎসাহ যোগাতে খাদ্যসামগ্রী ও প্রতিনিধিদলের ছবি প্রকাশ করা হলো।