সংবাদদাতা ।।
বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। সেই সাথে শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মোঃ কাশেম (২৯)কে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নতর চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাশেমের অবস্থা খুবই খারাপ। আহত কাশেমের স্ত্রী শরিফা (২৭), স্বর্ণা (৯), প্রতিবন্ধী আপন (৭) ও ইয়াছিন (৩১)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষের অপু মিয়া (২১) আহত হয়ে নিকলী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর তালাবপাড় গ্রামের সোনামদ্দিন (৫৫), তার ছেলে অপু (২১), আলমগীর (২৫), মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে সপু মিয়া (৫৮) ও সপু মিয়ার ছেলে বিপুল (২৬) দা, খুন্তি, লাঠি ও লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবেশী মোঃ কাশেমের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় অপু মিয়া ধারালো দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে কাশেমের মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে কাশেম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। দায়ের আঘাত কাশেমের ডান হাতের কনুইয়ের উপরের অংশে লাগে। বিপুল নামে এক বখাটে এসময় কাশেমের স্ত্রী শরিফার পড়নের কাপড় টেনে ছিড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ ব্যাপারে কাশেমের ছোটভাই জনি বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিকলী থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফয়েজ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, এজাহারভূক্ত ৫নং আসামী আলমগীরকে গতকাল শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।