সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আয়োজনে এবং জেগে ওঠো নরসুন্দা সংগঠনের সহযোগিতায় ছড়া উৎসবের যুগপূর্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেল কিশোরগঞ্জ সমবায় কমিউনিটি মিলনায়তনে। তিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঢাকার কবিদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন কবি রফিকুল হক দাদু ভাই, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, কবি আসলাম সানী, এম আর মঞ্জু, সুজন বড়ুয়া, রহীম শাহ, আশরাফুল মান্নান, আনজীর লিটন, মিলন সব্যসাচী, হাসনাত আমজাদ, আল হাফিজ, কাদের বাবু, আবিদ আজম প্রমুখ। ভারতবর্ষ থেকে আগত কবি ছিলেন ড. রাশবিহারী দত্ত, আনসার উল হক, সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, ইভা চক্রবর্তী, ড. অরুময় বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. শীলা বিশ্বাস, স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে। কিশোরগঞ্জের আয়োজক ও কবিদের মধ্যে ছিলেন আহমদ উল্লাহ, আবু খালেদ পাঠান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আশরাফ, অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, কবি আব্দুল হান্নান, মীর মো: রেজাউল করীম, বিজন কান্তি বণিক, মেরাজ রাহিম, শাহজাহান কবীর, বাসিরুল আমিন। ময়মনসিংহ থেকে কবি সেলিনা রশীদ, স্বপন ধর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কবি মহিবুর রহিম ও কবি গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা।
৩, ৪ ও ৫ মার্চ তিন দিনের অনুষ্ঠানের একটি পর্বে বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন কবি মহিবুর রহিম। তিনি তার আলোচনায় বলেন, আমাদের সাহিত্যে মৌলিকতা দুর্বল। এর কারণ অতিমাত্রার অনুকরণ। আমাদের সাহিত্যে আধুনিকতার হাত ধরে বিদেশী ভাব ও প্রকরণ প্রবেশ করেছে। তাই আমাদের সাহিত্যে নিজস্ব মৌলিকতাগুলো তেমন খুজে পাওয়া যায় না। অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নামে যে মৌলিকতা পাওয়া যায় অন্যত্র তা পাওয়া যায় না। অথচ সাহিত্যে মৌলিকতা ছাড়া সাহিত্য টিকে থাকতে পারে না। সাহিত্যচর্চার জন্যে আমাদের প্রচুর পড়ার প্রয়োজন। আমাদের পাঠের মান তেমন ভালো না। যে কারণে রবীন্দ্রনাথের মত মৌলিক লেখকের জন্ম হচ্ছে না। শুধু উৎসবের মধ্যে প্রকৃত লেখক তৈরি করা সম্ভব নয়। এর জন্যে প্রয়োজন পাঠান্দোলন। উৎসব থেকে আমরা নিতে পারি অনুপ্রেরণা। কিশোরগঞ্জ সুদীর্ঘকাল ধরে সাহিত্য সংস্কৃতির জন্যে একটি পীঠস্থান। লোক-সংস্কৃতির মত আধুনিক সাহিত্যেও কিশোরগঞ্জের অবদান অসামান্য।
অনুলিখন : কবি গোলাম মোস্তফা