এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জে মতবিনিময়

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
সরকারের ‘এসডিজি’ (স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য) অর্জনে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে একটি মতবিনিময় সভা হয়েছে। ব্র্যাক ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টে এ সভার আয়োজন করে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে তাড়াইল-সাচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনায় অংশ নেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম খান, সুজন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সরকার, হাঙ্গার প্রজেক্ট কর্মকর্তা স্বপন কুমার সাহা, সাঈদ আহমেদ, জয়ন্ত কর, করিমগঞ্জের গুজাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নিকলীর গুরুই ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান রূপন রাণী সরকার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাসিনা হায়দার চামেলি, মুক্তিযোদ্ধা মিসবাহ উদ্দিন, বেসরকারি সংস্থা পপি’র কর্মকর্তা সাইফুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, জাতিসংঘ ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্ষুধা ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে যে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) ঘোষণা করেছিল, বাংলাদেশ তা মেয়াদের তিন বছর আগেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ‘এসডিজি’ কর্মসূচী অনুমোদন করেন। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, নারীদের সমঅধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, সবর জন্য টেকসই পনি ব্যবস্থাপনা, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাবের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সব ধরনের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করাসহ ১৭টি টেকসই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই এসডিজি কর্মসূচী অনুমোদ দেয়া হয়েছে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরলসভাবে কাজ করার ওপর সবাই গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় কিশোরগঞ্জে নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ের চিত্র তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তবে ইউপি প্রতিনিধিদের সরকারি ভাতা নিয়ে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে বলেন, একজন চেয়ারম্যান বা মেম্বারের সকালে শয্যা ত্যাগ করার পর থেকে নানারকম সামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়। পবিারপরিজন ফেলে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদেরকে এসব কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর জন্য তাদেরকে প্রচুর ব্যক্তিগত অর্থও ব্যয় করতে হয়। অথচ তাদের সরকারি ভাতার পরিমাণ খুবই অমানবিক এবং হতাশাজনক। যে কারণে অনেক সময় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা অসদুপায় অবলম্বন করেন। কাজেই তাদের ভাতা বাড়ানো জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

Similar Posts

error: Content is protected !!