বিলুপ্তপ্রায় মাছের জন্য আন্দোলন করে আলোচনায় উঠে এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের গ্রাম জয়গোপালপুর। মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা, পরিবেশ রক্ষা এবং জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ভারত সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের ‘ইন্দিরা গান্ধী পর্যাবরণ পুরস্কার’ মিলেছে এ গ্রামের।
পুঁটি, ন্যাদোস, বান, মিষ্টি জলের ট্যাংরা, ফলুই, খোলসের মতো অনেক মাছই এখন প্রায় বিলুপ্তির মুখে। সেই মাছ বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের নারীরা। শুধু পরিবেশ রক্ষাই নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠী বানিয়ে অবলুপ্তির পথে থাকা মাছগুলির চাষও শুরু করেন তারা। চে চেষ্টারই পুরষ্কার এবার তাদের হাতে উঠলো।
জানা গেছে, পুঁটি, ন্যাদোস, মৌরলা, চ্যালা, চ্যাং, রাজপ্যাকাল, ছোটো প্যাকাল, বান, শিঙি, মাগুর, চাঁদা, মিষ্টি জলের ট্যাংরা, সাদা বেলে, খোলসে, মিষ্টি জলের বোগো, ফলুই, শোলের মতো মাছগুলি নিজেদের পুকুরে চাষ করছেন গ্রামবাসীরা। শুধু সুন্দরবনের জয়গোপালপুর গ্রামই নয় এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম। সচেতনতা বেড়েছে পরিবেশ নিয়েও।
চাষের জমিতে ব্যবহার করা রাসায়নিক কীটনাশক ক্ষতি করে মাছেদের। আর সেই কারণেই গ্রামের মানুষ রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করে জৈব সার ব্যবহার করছেন।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পুরস্কারের মূল্য রেখে দেওয়া হবে এবং তার থেকে প্রাপ্ত অর্থ আবার পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে যারা অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষার জন্য কাজ করবেন সেইসব মানুষদের।