কোনো কোনো স্থান ভেঙে নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক স্থানে ছোট-বড় গর্ত থাকায় উঁচু-নিচু হয়ে আছে। বাতাস জোরে শুরু হলে বালু উড়ে যাত্রী ও পথচারীদের নাকে-মুখে ঢোকে। এ দুরবস্থা কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার নিকলী-গুরুই সড়কের।
স্থানীয় লোকজন জানান, নির্মাণের পর আর সংস্কার না করায় সড়কের এ দুরবস্থা হয়েছে। হাওরের মধ্যে নির্মিত সাবমার্সিবল সড়কটিতে বছরের ছয় মাস স্থানীয় দুটি ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু এখন অবস্থা খারাপ হওয়ায় তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ বয়স্ক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। কিশোরগঞ্জে নিকলী-গুরুইয়ের সড়কের দৈর্ঘ্য মাত্র সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। কিন্তু সড়কজুড়ে রয়েছে অসংখ্য গর্ত ও ভাঙা। এতে নিকলী উপজেলা সদরের সঙ্গে গুরুই ও ছাতিরচর দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুরুই ও ছাতিরচর ইউনিয়নের লোকজন নিকলী-গুরুই সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। গুরুই ইউনিয়নের অনেক শিক্ষার্থী ওই সড়ক দিয়ে নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজে আসেন। এলজিইডি নিকলী উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সড়কের কুর্শা থেকে বটতলা পর্যন্ত চার কিলোমিটার ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এরপর এ সড়কে আর কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের বটতলা থেকে হিলচিয়া বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়।
নিকলী উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মহিউদ্দিন বলেন, এলজিইডির কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. রওশন সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, এ অর্থবছরে সড়কটি সংস্কারের পরিকল্পনা নেই। আগামী অর্থবছরে এটি সংস্কার করার পরিকল্পনা আছে।
সূত্র : প্রথম আলো, ২ এপ্রিল ২০১৬