জীবনবৃত্তান্ত মানে হল একটি জীবনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যগত চিত্র কাগজে প্রতিস্থাপন করা। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল CV বা Curriculum Vitae। চাকরি বা যেকোনো ধরনের কাজে বর্তমানে এই জীবনবৃত্তান্ত অত্যন্ত কার্যকর। তবে এই জীবনবৃত্তান্তের বিভিন্ন ফরম্যাট প্রচলিত রয়েছে যেগুলো গুরুত্ব অনুসারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই একটি পূর্ণাঙ্গ পেশাদার জীবনবৃত্তান্তে যে বিষয়গুলোর প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
অ্যাকশন ওয়ার্ড
প্রতিটি জীবনবৃত্তান্তের শুরুতে কয়েকটি অ্যাকশন ওয়ার্ড থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই অ্যাকশন ওয়ার্ডগুলো আপনার দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করবে এবং সার্বিকভাবে আপনার সম্পর্কে বলবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
আপনি নিশ্চয়ই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্তটি তৈরি করছেন। তাই জীবনবৃত্তান্তটিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ভালোভাবে দেখে নিন। কেননা আপনার ক্যারিয়ারে সহায়তা দানের মূল অংশই হল এই শিক্ষাগত যোগ্যতা। তাই এটিকে যতটা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায় ততই ভালো।
মেইলিং অ্যাড্রেস
জীবনবৃত্তান্তের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মেইলিং অ্যাড্রেস অর্থাৎ আপনার সাথে যোগাযোগ করার ঠিকানা। আপনার আবাসিক ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল অ্যাড্রেস। এই তথ্যগুলোর অভাবে আপনার জীবনবৃত্তান্তটি একেবারেই মূল্যহীন। তাই এই বিষয়টির উপরেও লক্ষ্য রাখুন।
অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার না করা
জীবনবৃত্তান্তটিতে সবসময় খেয়াল রাখবেন যে অস্পষ্ট শব্দ যেন কোনোভাবেই ব্যবহার না করা হয়। ধরুন আপনার ঠিকানা দিয়েছেন কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাটি দেননি। এতে করে আপনার দেয়া তথ্যগুলো অস্পষ্টই থেকে যাবে। এই বিষয়টিতেও খেয়াল রাখবেন।
দক্ষতার বিষয়
পেশাদার জীবনবৃত্তান্তটিকে অনেক বেশি মূল্যবান করে তোলে দক্ষতার বিষয়গুলো। অর্থাৎ দক্ষতার বিষয়ের উল্লেখ আপনার সম্পর্কে অধিক গুরুত্ব তৈরি করে যা আপনার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সক্ষম। একটি প্রফেশনাল পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তে এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র : jobsearch.about.com