ডেভিড শেফার্ড। ক্রিকেট মাঠে নানারকম আনন্দদায়ক কাজের জন্য সুখ্যাতি ছিলো তার। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল ছোট্ট করে লাফিয়ে ওঠা। এই লাফিয়ে ওঠা দেখার জন্য ক্রিকেটপ্রেমিরা অধীর আগ্রহে অপো করতেন। যখন কোনো খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত স্কোর অথবা দলীয় স্কোর তিন অংকের একই সংখ্যার হতো, তখন তিনি লাফিয়ে উঠতেন। অর্থাৎ ১১১, ২২২, ৩৩৩ হলেই লাফ দিতেন তিনি। লাফানোর কারণ হিসেবে বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগানোর জন্যই এমনটা করা।
১১১১। আজ আমাদের নিকলী ডটকম-এর ফেসবুক অফিসিয়াল পেজের লাইক সংখ্যা এক হাজার একশত এগার! (১১১১)। চারটি একই নম্বর। এমন দৃশ্য দেখার পর ডেভিডের কথা মনে পড়ে গেলো। আচ্ছা, ধরে নিলাম তিনি আজ জীবিত সেই সাথে ‘আমাদের নিকলী ডটকম’ পত্রিকার একজন ফ্যান। তাহলে তিনি কী করতেন? যেখানে তিনি তিন অংকের সংখ্যা দেখেই লাফাতেন সেখানে আমাদের চার অংকের সংখ্যা দেখে নিশ্চয়ই তিনি লাফানোর সাথে ঝাঁপাতেনও!
ডেভিড শেফার্ড! আমরা আপনার ভক্ত। এটা ‘ধরে নেয়া’ থেকে বলছি না। সত্যিই আমরা আপনার ভক্ত। আমাদের হৃদয়ে আপনি আজও জীবিত। আমাদের নিকলী ডটকম আজ ১১১১-এ। চলুন না এবার একটু লাফানো যাক।
দিন দিন আমাদের নিকলী ডটকম নিয়ে স্বপ্নগুলো এমনই বড় থেকে আরো বড় হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান এই ভালোবাসার অংশীদার হওয়ার জন্য পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আরো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যারা নিয়মিত পাঠের পাশাপাশি সার্বিকভাবে সাপোর্ট করে আসছেন। আপনার এ সাপোর্টই আমাদের এতদূর আসার সাহস যুগিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি করে আপনাদের পাশে পাওয়ার দাবি রাখছি।
সংক্ষেপে ডেভিড শেফার্ড
পুরো নাম ডেভিড রবার্ট শেফার্ড। ক্রিকেট বিশ্বে ডেভিড শেফার্ড নামেই পরিচিত ছিলেন। তিনি ক্রিকেট আম্পায়ার। ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক কীর্তির সরাসরি সাক্ষি প্রয়াত এই ভদ্রলোক। ১৯৪০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া ইংলিশ আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ড ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত (২২ বছর) ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে ওয়ানডে খেলা পরিচালনা করেছেন ১৭২টি (১৯৮৩-২০০৫); টেস্ট পরিচালনা করেছেন ৯২টি (১৯৮৫-২০০৫)।
শেফার্ড তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালসহ ১৭২টি ওয়ানডে এবং ৯২টি টেস্টে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আম্পায়ার হিসেবে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ১৯৮১ সালে। এরপর ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৯৮৫ সালে ক্রিকেট খেলার প্রধান স্তর টেস্ট ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটান এবং ক্রিকেটপ্রিয় সকলের হৃদয়-মন জয় করেন।
আম্পায়ারিং করার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলোয়াড় জীবনও ছিল আলোকিত। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কাউন্টি খেলেছেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৮২টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে ২৪.৪৭ গড়ে রান করেছেন ১০৬৭২। ১২টি শতক ও ৫৫টি অর্ধ শতক করেছেন। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিলো ১৫৩। কাউন্টিতে তার দল ছিল গ্লুচেস্টারশায়ার।
বিশ্বখ্যাত সাবেক আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ড অক্টোবর ২৭, ২০০৯ তারিখে ৬৮ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ডেভনে মারা যান। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া
লেখক : তোফায়েল আহছান, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, আমাদের নিকলী ডটকম