কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নে একটি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে পরাজিত এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকেরা। পরে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর লুট করা অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি বরাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ছয় শ ৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আজিজুল হক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসহাক মিয়া ছয়শ ২০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচনী মালামালসহ পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভাটিরবাটিয়া রাজঘাটে ট্রলারে উঠছিলেন। এ সময় পরাজিত সদস্য প্রার্থী ইসহাক মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাঁরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জোর করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কিন্তু এ সময় ইসহাক মিয়ার সমর্থকেরা আবারও সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে একটি শটগান ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এ ঘটনার পর অস্ত্র উদ্ধারে ভাটিবরাটিয়ায় সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। অষ্টগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্রটি ইসহাক মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটক আসামিদের নাম জানা যায়নি। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ইসহাক মিয়াকেও পাওয়া যায়নি।
সূত্র : প্রথম আলো