কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের জায়গা জবরদখল করে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে একটি ভূমিদস্যু চক্র। একের পর এক সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা ছাড়াও চক্রটির প্রাণনাশের হুমকির মুখে আতঙ্কে রয়েছে অসহায় পরিবারটি। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থায় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারটি। আজ মঙ্গলবার ৩ মে সকালে জেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সদরের মাইজখাপন ইউনিয়নের বেত্রাহাটি বেপারীপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম মীরের বিধবা স্ত্রী ভুক্তভোগি মোছা. অরবুলা খাতুন ওরফে ছফুরা খাতুন বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে জানান, তার স্বামী মো. ইব্রাহীম মীর ৫নং সেক্টরের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করেন। ২৫/২৬ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। চার ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্বামী ইব্রাহীম মীরের রেখে যাওয়া সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমির ওপর তৈরি বসতবাড়িতে বসবাস করে আসছেন তারা।
ছফুরা খাতুন অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একটি ভূমিদস্যু চক্র তার সৎ দেবর মগবুল হোসেন শাহীনের নেতৃত্বে তাদেরকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে তাদের বসতবাড়ির আঙিনাসহ একটি অংশ জবরদখল করে সেখানে মগবুল হোসেন শাহীন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের ওপর আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যু চক্রটি মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ছফুরা খাতুনকে মারধর করা ছাড়াও তার তিন ছেলেকে আদম বেপারী সাজিয়ে চক্রের সদস্য জেলা সদরের পূর্ব তারাপাশা এলাকার সাইফুল ইসলাম ও সদরের যশোদল বানিয়াকান্দি এলাকার তৌফিকুল ইসলামসহ অন্যদের বাদী করে আদালতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে চলেছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এ অবস্থায় একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে নিজের ও সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নিশ্চয়তা চান ছফুরা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সজীব মিয়া, ভাগ্নে রিটন মিয়াসহ নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।