নিকলীতে ভ্রাম্যমান আদালতের ওপর হামলা, পুরুষশূণ্য গ্রাম

hamla vangcur

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

ভ্রাম্যমান আদালতের ওপর হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১১ জন আহতের ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে নিকলী উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম ২৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২-৩শ’ নারী-পুরুষকে উল্লেখ করে দায়ের করা মামলায় চলছে পুলিশি অভিযান। গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে কিশোরসহ জারইতলা ইউনিয়নের পুড্ডা গ্রামের যুবক ও বৃদ্ধরা। ফলে গ্রামটি এখন পুরুষশূন্য প্রায়।

উপজেলা মৎস্য অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২৩ জুলাই শনিবার সকালে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে উপজেলার রোদার নদীতে নিষিদ্ধ জাল বিষয়ক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। গোয়ালহাটি খালে নৌকায় ও ব্রিজের ওপর শুকাতে দেয়া কয়েকটি নিষিদ্ধ বেড়জাল আটকের সময় জেলেদের একটি উচ্ছৃঙ্খল দল নৌকায় থাকা ভ্রাম্যমান আদালতের ওপর চড়াও হয়।

খালের উঁচু পাড় থেকে তাদের এলোপাতাড়ি ছোড়া ইট-পাটকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম, ওসি মুঈদ চৌধুরীসহ আদালতের কমপক্ষে ১১ জন আহত হন।

এ সময় সঙ্গীয় পুলিশকে কোনো নির্দেশ না দিয়ে নিজের কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে মোহাম্মদ মাহবুব আলম। গুলির শব্দে আক্রমণকারীরা পিছু হটলে গ্রাম থেকে ২ দিনমজুরকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের পুলিশ। আটককৃতদের প্রত্যেককে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং উদ্ধারকৃত নিষিদ্ধ জাল নিকলী উপজেলা পরিষদের সামনে জনসমক্ষে আগুনে পুড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।

এ ঘটনায় একই দিন সন্ধ্যায় নিকলী থানায় সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই রাতেই পুড্ডা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। স্কুলপড়ুয়া ছাত্র, ব্যবসায়ীসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযানকালে কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুরসহ আত্ঙ্ক সৃষ্টি করে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।

তারা জানায়, মাত্র গুটিকয়েক দুষ্কৃতিকারীর জন্যে পুরো গ্রামবাসী পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নিকলী থানার ওসি মুঈদ চৌধুরী জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাদের আটক করা হয়েছিলো। রোববার দুপুরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!