হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করলেও শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে সাহেবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার ৯ আগস্ট ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। স্কুলটি রক্ষায় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করছেন এলাকার জনগণ।
এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ উদ্দিন, সমাজকর্মী ফরিদ উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, সরকারিভাবে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ না নিলে অচিরেই স্কুল, মসজিদসহ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন অব্যাহত থাকলেও সরকারিভাবে কার্যকরী উদ্যোগের অভাবে নদী পাড়ের বহু পরিবার সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন নিঃস্ব।
উপজেলার সাহেবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ জানান, ইতোপূর্বে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আধাপাকা স্কুল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে নির্মিত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি এবার বিলীন হলে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়তে হবে সীমাহীন দুর্ভোগে।
তাই তারা বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য আশু সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত ভাঙনে চরাঞ্চলে ভূমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শতশত পরিবার এখন গৃহহীন। এসব পরিবারের অনেকেই জীবিকার তাগিদে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ কেউ অভাব অনটনে, রোগে ভোগে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
অসহায় লোকজনের আর্তি সরকার যেন নদী ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারগুলোর পাশে দাড়ায় এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।