আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
প্রায় পাঁচ বছর আগে সোমালিয়ায় জলদস্যুদের দ্বারা অপহৃত একদল নাবিক সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।
জলদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার পাওয়া একজন নাবিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রাণে বাঁচার জন্য তারা কখনো কখনো ইঁদুরও খেয়েছেন।
তাদের একজন বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাঁচার জন্য কখনো কখনো তারা ইঁদুর খেয়ে ক্ষুধা মিটিয়েছেন।
ফিলিপাইনের নাবিক আরনেল বালবেরো বলেছেন, বন্দী অবস্থায় তাদের খুব সামান্য খাবার দেয়া হতো। দিনশেষে তাদের মনে হতো, মৃত্যুর সাথে বসবাস করছেন তারা।
২০১২ সালে একটি জাহাজের ২৬ জন নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ায় নিয়ে যায় জলদস্যুরা। এই নাবিকেরা ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। প্রায় পাঁচ বছর বন্দী থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে শনিবার ২২ অক্টোবর তাদের ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা।
জলদস্যুদের হাতে বন্দী নাবিকেরা ছিলেন চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের নাগরিক ।
জিম্মি হওয়া নাবিকদের মধ্যে একজন ছিলেন আরনেল বালবেরো। সেচিলিসের দক্ষিণ থেকে জাহাজসহ তাদের জিম্মি করে সোমালিয়ার জলসদ্যুরা। ওই সময় একজন ক্রু নিহত হন।
জলদস্যুরা নাবিকদের জিম্মি করার এক বছর পর জাহাজটি ডুবে যায় এবং নাবিকদের সোমালিয়ার কূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ে দুজন নাবিক অসুস্থ হয়ে মারা যান।
মি: বালবেরো জানিয়েছেন, জলদস্যুরা তাদের খুবই কম খাবার দিত। যে কারণে তারা ইঁদুর খেতেন। জঙ্গলে ইঁদুর রান্না করে খেতে হতো তাদের। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমরা যা পেতাম তাই খেতাম। ক্ষুধা পেলে আপনিও হাতের কাছে যা পাবেন তাই খাবেন।’
মি: বালবেরো তার পাঁচ বছরের বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। বিবিসিকে বলেছেন বনে-জঙ্গলে বেঁচে থাকার ভয়ঙ্করা অভিজ্ঞতা তাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিচ্ছে। মুক্ত হয়েও এখন তিনি ভাবছেন স্বাভাবিক জীবনে তিনি কবে ফিরতে পারবেন।
সূত্র : বাঁচার জন্য ‘ইঁদুর খেয়েছেন’ সোমালিয়ায় বন্দী নাবিকরা (বিবিসি বাংলা)