নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যভ্যাসের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া সত্ত্বেও মাসিক ঋতুকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রে নিকলী উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও কিশোরীদের মধ্যে যথেষ্ট অসচেতনতা পরিলক্ষিত হয়। এ ব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী ও কিশোরীদের হাতের নাগালে স্বল্প মূল্যের স্যানিটারী ন্যাপকিন পৌঁছে দেয়ার নিমিত্ত্বে নিকলী উপজেলায় “আসমানী স্যানিটারী ন্যাপকিন” নামক একটি পণ্য উৎপাদন শুরু হয়েছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় মারিয়া স্যানিমার্ট সেন্টারের অধীনে স্থানীয় কিশোরীদের উৎপাদিত আসমানী স্যানিটারী ন্যাপকিনের বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় ১২ জানুয়ারি। নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ কার্যক্রমটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় তারা উৎপাদন কেন্দ্রের তুলা রিফাইনিং মেশিন, জীবানুমুক্ত করার অটোকেব মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং প্রস্তুতকরণ ও প্যাকেজিং পদ্ধতি পরিদর্শন করে পণ্যটির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এটিকে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ উল্লেখ করে অতিথিদ্বয় প্রজনন স্বাস্থ্যের দূরারোগ্য ব্যাধি হ্রাসে এ স্যানিটারী ন্যাপকিনটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি স্থানীয় কিশোরীদের স্বাবলম্বি হওয়ার ক্ষেত্রেও এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত মার্কেটিং এজেন্টদের হাতে আসমানী স্যানিটারী ন্যাপকিন তুলে দেন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ওয়াশ কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশের ক্লিনিক ম্যানেজার মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, পপি রিকল প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর মোশারফ হোসেন খান, পপি সৌহার্দ্য প্রকল্পের সুপারভাইজার শরিফা বেগম, মারিয়া স্যানিমার্ট সেন্টারের প্রোপ্রাইটর হামিদুর রহমান সবুজ প্রমুখ।