নিকলীতে মাতলামিতে বাধা দেয়ায় আ’লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মাতলামির প্রতিবাদ করায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে প্রকাশ্য পিটিয়ে মো. আবদুল মান্নান ওরফে বীর মান্নান (৪০) নামের এক আওয়ামীলীগ নেতাকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত মান্নানকে প্রথমে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে রোববার রাতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি উপজেলা সদরের মোহরকোনা গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে এবং নিকলী সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে মো. আবদুল মান্নানের মামা নিকলী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু বাক্কার বেপারীর মেয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলছিলো। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিকলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলী (৫০) ও টিক্কলহাটি গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে আবু কালাম (৩২) মদ্যপ অবস্থায় উপস্থিত হয়ে মাতলামি করতে থাকে। এ সময় উপস্থিত আবদুল মান্নান তাদেরকে নিষেধ করলে বাক বিতণ্ডার সৃষ্টি হলে রাতেই তার মীমাংসা হয়।

abdul-mannan

রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় নিকলী নতুন বাজারের মাছের আড়তে মাছ রেখে হোটেলে নাশতা করতে বসেন। আবদুল মান্নানকে দেখতে পেয়ে আবু কালামের পিতা আবদুল রশিদ তার ৬ ছেলে ইসরাফিল, ইসমাইল, ইব্রাহীম, আবু কালাম, আবু বাক্কার, আবু সিদ্দিক, মেয়ের জামাই মিজান ও আবদুল আলীকে খবর দেন। আবদুল মান্নান হোটেল থেকে বের হওয়ামাত্র নতুন বাজার মাছ মহালে দা, লাঠি নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে মান্নানকে আক্রমণ করে। বেধড়ক পিটিয়ে মাথাসহ আবদুল মান্নানের সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ঘটনায়, নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও ইউসিসিএ লিঃ সভাপতি কফিল উদ্দিন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও মৎস্য আড়ৎদার মো. তাহের আলী নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

আবদুল মান্নানের অবস্থা সংকটাপন্ন উল্লেখ করে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তার ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।

Similar Posts

error: Content is protected !!