নিকলীর বিদ্যুত লোডশেডিংয়ের মাত্রা বোঝে না!

load shedding nikli

কারার ইমরান মাহাদী নিয়ন, নিজস্ব প্রতিনিধি।।

লোডশেডিংয়ের কোনো মাত্রা বোঝে না নিকলীর বিদ্যুত। সারাদিনে খণ্ড খণ্ড আসা-যাওয়ার হিসাব করলে ২৪ ঘণ্টার বিপরীতে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুত সুবিধা পান নিকলীর মানুষজন; তাও নির্দিষ্ট একটানা সময়ে না। তাছাড়া আবহাওয়া একটু খারাপ হলেই বিদ্যুত একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকে। পরিস্থিতি ঠিক হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় বিদ্যুতের জন্য।

বিদ্যুতের এমন তেলেসমাতি কাণ্ডে এই অঞ্চলের মানুষজন নানামুখী বিপত্তির শিকার হচ্ছেন। বিদ্যুতে পরিচালিত যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, চার্জ দিতে না পারায় যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

নিকলীর যোগাযোগে স্বল্প খরচের বাহন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এর ব্যাটারিগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চার্জ করতে হয়। দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুত না থাকায় স্বল্প আয়ের নিকলীবাসীর ভোগান্তিও বাড়ছে। বিশেষ করে বেশি দূরত্বের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য।

পুড্ডা বাজার থেকে নিকলী সদর পর্যন্ত প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫টি অটোরিকশা নিয়মিত যাতায়াত করে। জনপ্রতি ভাড়া নেয় ১০ টাকা। তবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল চলাকালীন অর্ধেক ভাড়া নেয়া হয়। চাহিদামতো বিদ্যুত না পেয়ে অটোরিকশার ব্যাটারি পর্যাপ্ত চার্জ করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় রাস্তায় অটোরিকশার সংখ্যা কমে ১৬ থেকে ১৭টি চলাচল করে। এ সময় শিক্ষার্থীদেরও গুনতে হয় জনপ্রতি ১০ টাকা করে। এতে অনেক শিক্ষার্থীই সামর্থ্য না থাকায় পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।

অটোরিকশা স্ট্যান্ডের মাস্টার মো. মোকলেস জানান, পুড্ডা বাজার থেকে নিকলী সদর পর্যন্ত আমাদের নিয়মিত ৪০-৪৫টি অটোরিকশা তালিকাভুক্ত। কিন্তু চার্জ করতে না পারায় তা তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসে। তখন অতিরিক্ত চাপ ও খরচ সামলাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে পারি না।

এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে রমজানে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য কাজ করছে সরকার। অবহেলিত এই জনপদের জন্য সরকার কতটা আন্তরিক হবেন বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এটাই এখন দেখার বিষয়।

Similar Posts

error: Content is protected !!