আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় শুরু হওয়া মৌসুমি বন্যা প্রবল রূপ ধারণ করায় সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছে। এরই মধ্যে সরকার দেড় হাজার মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪৪ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, বন্যাপ্রবণ ২১টি জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুই হাজার একশ টন চাল ও আগাম ৪২ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। বাসস
এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, ‘সিলেট, মৌলভীবাজার এবং কক্সবাজারের মতো জেলাগুলো ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় আমরা ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এই কর্মসূচির আওতায়, সরকার এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় আটশ’ টন চাল ও নগদ ৩০ লাখ টাকা, মৌলভীবাজার জেলায় ছয়শ’ টন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা, কক্সবাজার জেলায় একশ’ টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা এবং হবিগঞ্জ জেলায় একশ’ টন চাল বিতরণ করেছে।
এছাড়াও, বন্যাদুর্গতদের মাঝে ১১ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি মুড়ি, ১ কেজি চিড়া, ১ ডজন মোমবাতি ও ১ ডজন দিয়াশলাই-এর বাক্স রয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেট, মৌলভীবাজার ও কক্সবাজার- এই তিনটি জেলার প্রত্যেকটিকে দুইশ’ ত্রাণের প্যাকেট এবং হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও লালমনিরহাট- এই চারটি জেলার প্রত্যেকটিতে একশ’টি ত্রাণের প্যাকেট দেয়া হয়। এছাড়াও বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি- এই দুইটি জেলার প্রত্যেকটিতে পাঁচশ’টি করে ত্রাণের প্যাকেট দেয়া হয়।
অন্যদিকে, সরকার ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় হাওরাঞ্চলের পাঁচটি জেলায় এ বছরের জুলাই পর্যন্ত তিন মাস বন্যাদুর্গত ৫০ হাজার মৎস্যজীবী ও ক্ষুদ্র কৃষিজীবীর জন্য ৪ হাজার ৫০০ টন চালের বরাদ্দ দিচ্ছে।
এর মধ্যে, সিলেট জেলার পাঁচ হাজার দরিদ্র কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী পরিবারের জন্য ৪৫০ টন, সুনামগঞ্জ জেলার ১৮ হাজার দরিদ্র পরিবারের জন্য একহাজার ছয়শ’ ২০ টন, মৌলভীবাজার জেলার চারহাজার পরিবারের জন্য ৩৬০ টন, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৫ হাজার পরিবারের জন্য এক হাজার তিনশ’ ৫০ টন এবং নেত্রকোনা জেলার আট হাজার দরিদ্র পরিবারের জন্য ৭২০ টন চাল বিতরণ করেছে সরকার।