ছেলেদের খতনা কেন করানো হয়?

খতনাকে ইংরেজিতে বলে সারকামসিশন (circumcisions )। খতনা হচ্ছে লিঙ্গের অগ্রভাগের ত্বক কেটে বাদ দেয়া। এই ত্বক লিঙ্গমুণ্ডুকে ঢেকে রাখে। আপনি যে ধর্ম বা সংস্কৃতির মানুষ হোন না কেন, খতনা সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য জানা থাকলে আপনার শিশুকে খতনা করাবেন কি না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে কিংবা দ্বিধা থাকবে না। মুসলমান ও ইহুদিরা যদিও ধর্মীয় কারণে খতনা করান। সত্যিকার অর্থে কুরান ও হাদীসের আলোকে এর যৌক্তিকতা কতটুকু? খাতনা সম্পর্কে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক মতামত পাওয়া যায়। আবার অনেকে মনে করেন, এটা আরবদের একটি সংস্কার। কোন স্পেশাল ধর্মের অংশ নয়। এ প্রথা ইসলাম, খৃষ্ট ও ইহুদি ধর্মে বিদ্যমান। এ ধর্ম তিনটি আরবদের থেকে প্রচারিত বিধায় প্রাচীন আরবদের একটি সংস্কার/প্রথা এসব ধর্মে ঢুকে গেছে।


স্বাস্থ্যগত কারণ

খতনা করালে শিশুদের মূত্রপথের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এর ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, জ্বর, খাবারে অনীহা এবং স্বাস্থ্য ভালো না হওয়া ইত্যাদি সমস্যা লেগেই থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে খতনা করালে লিঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ হয় ও যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি কমে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুরুষের খতনা এইচআইভি বা এইডস প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি আংশিক সুরক্ষা দেয়। লিঙ্গের মাথায় প্রদাহ, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া করলেও খতনা করালে তা সেরে যায়।

এক সময় মানুষ হাজামের কাছে খতনা করত। সেটা খুবই ব্যথাপূর্ণ, ভীতিকর পদ্ধতি। এতে মারাত্মক ইনফেকশন ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা খতনা করানো প্রয়োজন।

শিশুদের খতনা করাতে দেরি করা ঠিক নয়। কারণ এতে লিঙ্গমুণ্ডুর ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণ, মূত্রপথের সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। সুতরাং দেরি না করে আপনার শিশুর খতনা করানোর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। শিশুর বয়স কিছু বেশি হলে খতনা করাতে গেলে তার জন্য ভীতিকর ও কষ্টকর হয়ে পড়ে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে খতনা না করালে ইনফেকশন, রক্তক্ষরণ, প্রস্রাব পথের ফিস্টুলা, সিস্ট, হাইগোমপেডিয়াসিম এমনকি ভবিষ্যতে পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!