আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
সকালের নাশতা অনেকেই ঠিকমতো খেতে চান না। আর এ কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা গ্রাস করে।
তবে সকালে পুষ্টিকর নাশতা খাওয়া সম্ভব হলে বহু স্বাস্থ্যগত সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবারের কথা-
ডিম
প্রতিদিন সকালের নাশতায় ডিম খেলে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা সম্ভব বহুদিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে একজন সুস্থ মানুষ যদি প্রতিদিন একটি করে ডিম খায় তাহলে বহু শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডিমে ভিটামিন বি গ্রুপের বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ ও বি ১২ আছে। এ ছাড়াও কোলাইন, বায়োটিন ও ফলিক এসিড আছে ডিমে যা স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। ডিমে উপস্থিত লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক প্রোটিন চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।
আঙুর
আঙুর সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য খুবই উপকারী ফল। নিয়মিত আঙুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। আঙুর শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে গাঢ় রং এর আঙুর হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী।
ওট মিল
ওট মিলে আছে প্রচুর ফাইবার যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও ওটমিলে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বকের কোষকে সজীব রাখে।
সবুজ চা
সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে চাইলে সকালের নাশতার সাথে খান এক কাপ সবুজ চা। প্রতিদিন সকালের নাশতার সঙ্গে সবুজ চা খেয়ে শরীরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। চায়ে উপস্থিতি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বকের কোষগুলোকে সজীব রাখে। সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
বেদানা
বেদানা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উপকারী। যারা সকালের নাশতায় চা খেতে চান না তারা খেতে পারেন বেদানা বা আনারের জুস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন এক গ্লাস আনারের জুস খেলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না। এ ছাড়াও আনারের জুস খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।
সূত্র : সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালের নাশতায় কী খাবেন? [কালের কণ্ঠ, ১৩ নভেম্বর ২০১৭]