এই কলার নাম “মর্তমান” হলো কিভাবে

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কলা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু। কাঁচকলার তরকারি থেকে পাকা কলার বিভিন্ন রকম তৈরি খাবার, রসনা তৃপ্তিতেও কম যায় না এই ফল। প্রতি সকালে অনেকেরই সঙ্গী এই কলা।

বাজারে গেলে নানা ধরনের কলা দেখা যায়। নামের সঙ্গে প্রতি ধরনের কলার আকারও বদলে যায়। হেরফের ঘটে পুষ্টিগুণেরও।

তেমনই একটি হল “মর্তমান কলা”। মাঝারি আকারের এই কলা স্বাদে অত্যন্ত মিষ্টি। প্রিয় এই ফলটির ইতিহাস নিয়ে কখনও ভেবে দেখেছেন? জানেন কি মর্তমান কলার এমন নাম কেন?

দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় যে কলা পাওয়া যেত, তা আকারে ছিল অনেকটা ছোট। ঠিক যেন প্রাপ্তবয়স্কের হাতের আঙুলের মতো দৈর্ঘ্য ছিল তার। আরব দেশের ব্যবসায়ীরা তাই মজা করেই একে “বানান” বলে ডাকতে শুরু করেছিলেন।

আরবি শব্দে “বানান”-এর অর্থ আঙুল। সেই “বানান”ই পরবর্তীকালে কলার ইংরাজি “বানানা” হয়ে যায়। সেই থেকেই নাকি “বানানা” শব্দের উৎপত্তি।

বহু বছর আগে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশ থেকে এ দেশে কলা এসেছে। পরবর্তীকালে আরও বিভিন্ন প্রজাতির কলার চাষ শুরু হয় এই উপমহাদেশে।

বিভিন্ন দেশের নামানুসারে কলার নামও আলাদা আলাদা। কলার নাম “মর্তমান” হলেও এই কলার সঙ্গে আসলে মার্তাবানের সম্পর্ক রয়েছে।

মায়ানমারের থাটন জেলার অন্তর্গত একটি ছোট শহর মোতাম্মা। ১২৮৭ সাল থেকে ১৩৬৪ সাল পর্যন্ত মার্তাবান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল মোতাম্মা। পরবর্তীকালে রাজ্যটিরই নাম হয়ে যায় মোতাম্মা।

“মার্তাবান” থেকেই “মর্তমান” শব্দটি এসেছে। এই বিশেষ কলা মায়ানমারের মার্তাবান থেকে এসেছিল। সে কারণেই সেটি মর্তমান।

মাঝারি আকারের এই কলা গুণে ভরপুর। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ডায়েটরই ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, তামা, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, সালফার, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এতে।

Similar Posts

error: Content is protected !!