মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কারণ আদিবাসীরাও এদেশের নাগরিক। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আদিবাসিদের সচেতন করে তুলতে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
তিনি শনিবার (১ সেপ্টেম্বর ২০১৮) ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের সোনাই ও মোনাই ত্রিপুরা পল্লীতে ত্রাণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও মশারি বিতরণ করতে গিয়ে উল্লেখিত অভিমত ব্যক্ত করেন। গত ২১ আগস্ট সোনাই ত্রিপুরা পল্লীতে হাম রোগে একই পরিবারের তিন শিশুসহ চারজনের মৃত্যুর পর অবহেলিত এই পল্লীর প্রতি প্রচারমাধ্যম সহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।
দুই ত্রিপুরা পল্লীতে সুপেয় পানীয় জলের সংকট, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাবসহ আদিবাসী এ পল্লীতে সচেতনতার অভাবে তারা নানা রোগে ভুগছিল। বিশেষ করে অসহায় এসব পরিবারের পুষ্টিহীনতা ছিল প্রকট। মন্ত্রী শনিবার ত্রিপুরা পল্লীতে গিয়ে তাদের নানা সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। তিনি তার সাথে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের ত্রিপুরা পল্লীর সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সুপেয় পানীয় জলের জন্য ত্রিপুরা পল্লীতে ইতিমধ্যে ২টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। আরো একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। মন্ত্রী হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণকারী শিশুদের পরিবারে গিয়ে অভিভাবকদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার উননেছা শিউলী, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সৈয়দ মোঃ ইমতিয়াজ হোসাইন, শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মাহফুজুর রহমান, ১নং ফরহাদাবাদ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবর, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
মন্ত্রী সোনাই ও মোনাই ত্রিপুরা পাড়ার ১০৮ পরিবারের মধ্যে মুড়ি, চিড়া, মুগডাল, সাবান, চিনি, আটা, দুধ, হুইল পাউডার, তেল, বিস্কুট, গোল সাবান, পেয়াজ, রসুন, আলু ও ১০৮টি ওষধযুক্ত মশারি বিতরণ করেন। তা ছাড়া ছাত্রলীগের একটি দল ত্রিপুরা পল্লীতে শনিবার স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করে।