বইমেলায় নিকলীর খ্যাতিমান লেখক শাওন সুহৃদের ব্যতিক্রমী উপন্যাস “সংসার”

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

একুশে বইমেলা ২০১৯-এ বের হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক খ্যাতিমান লেখক শাওন সুহৃদের ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস “সংসার”। প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠা বইটির ২৩০ পৃষ্ঠা ১ম পর্ব হিসেবে প্রকাশ করেছে অনন্যা পাবলিকেশন্স। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। দাম ৩২৫ টাকা।

এ বইয়ে লেখক একটি সংসারের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্ব এবং টানাপড়েনের চিত্র অতি সহজ ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বে পরিবার এবং সংসারের প্রতি মানুষের যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, ধর্ম এবং নৈতিকতা থেকে সরে যেয়ে মানুষ অর্থবিত্তের দিকে যেভাবে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াচ্ছে, তা যে মানব জাতির জন্য কল্যাণকর নয়, সেটাও অতি সূক্ষ্মভাবে সুনিপুণ কায়দায় তুলে ধরেছেন। বর্তমানে আকাশ সংস্কৃতি ও ইন্টারনেটের অবাধ প্রবাহ অতি দ্রুত আমাদের রক্ষণশীল সমাজে সুনামীর ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ে তছনছ করে দিচ্ছে আমাদের শান্তির সংসারকে। প্রথমে চাচা-চাচি, দাদা-দাদী, তারপর নিজের বাবা মাকেও কৌশলে দূরে ঠেলে ফেলে শুধু স্বামী-স্ত্রীতে অনু পরিবার। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীতেও সন্দেহ সংশয় অবিশ্বাস সংসারের মূলে কুঠারাঘাত হানছে। সন্তান-সন্ততি অবাধ্য ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মানুষের অতি স্বাধীন মনোভাবের কারণে দিনদিন মানুষ হয়ে পড়ছে সংসারবিমুখ। বিয়ে, সংসার, পরিবার এসবের সংজ্ঞাই যেন ভুলে যেতে শুরু করেছে মানুষ। সুখের আশায় একাকিত্বকে বরণ করে নিয়ে মানুষ দুঃখের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছে। তাই লেখক তাঁর ভূমিকায় বলেছেন, “মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে শান্তির বীজ বুনতে হবে পরিবারে, সংসারে। সংসারের বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে হবে। শুধূ নিজের পরিবার নয়, বরং পৃথিবীর সকল মানুষকে নিয়ে ভাবতে হবে একটি পরিবার, একটি সংসার। মানব সংসার। পৃথিবী আমাদের ঘর, আমরা কেউ নই কারো পর।”

আসাদ মোমেনার দাম্পত্য জীবনকে উপজীব্য করে আবর্তিত হয়েছে সংসারের ঘটনাপ্রবাহ। আসাদ গ্রামের ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা বাবা এবং স্কুলশিক্ষিকা মায়ের একমাত্র সন্তান সে। বাবা-মায়ের নৈতিক এবং মানবিক আদর্শ তার চরিত্রে গভীর ছাপ ফেলেছে। তাই বর্তমান অনৈতিক সমাজ ব্যবস্থায় সে কোনমতেই খাপ খাওয়াতে পারছে না। পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে। অপরদিকে মোমেনা ঢাকা শহরে বেড়ে উঠা এক অনৈতিক বাবার সন্তান। একজন সরকারি চাকরিজীবি হওয়া সত্ত্বেও ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অঢেল ধন-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি নামাজ রোজা যেমন করেন, সুদ ঘুষ মদও ঠিকমতই খান। কোন কিছুতেই কোন কমতি নেই। টাকার জন্য যে কোন ধরনের দুর্নীতি, দুষ্কর্ম করতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করেন না।

বিয়ের আগে মেয়ে মোমেনা বাপের এই অনৈতিক জীবনাদর্শকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করত। কিন্তু বিয়ের পরে যতই দিন যেতে থাকে ততই তার কাছে মনে হতে থাকে তার বাপের আদর্শই ঠিক। নীতি নৈতিকতা নিয়ে না খেয়ে মরার চেয়ে বরং যে কোন উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সুখে থাকাই শ্রেয়। কিন্তু শত কষ্টেও স্বামী আসাদ তার নীতিতে অটল। নীতি নৈতিকতা এবং ধর্মীয় আদর্শ থেকে এক পা বিচ্যুত হতে সে রাজি নয়। ফলে স্বামীর নৈতিক জীবনধারার প্রতি দিন দিন বিতৃষ্ণ হয়ে উঠে মোমেনা। একদিকে বাবার অর্থবিত্তের জৌলুশ এবং অপরদিকে স্বামীর টানাটানির সংসার তাকে দিশেহারা করে তুলে। শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্ব। প্রতিনিয়ত ঝগড়াঝাটিতে বিষিয়ে উঠে সংসার। এরই পরিণতিতে একদিন ছেলেমেয়েরা প্রতিবাদী হয়ে উঠে।

বইটিতে মোট ২২টি অধ্যায় রয়েছে। অধ্যায়গুলো হলো, সংসার সমরাঙ্গন, দেখা হয়েছিলো দুজনে, ভালোবাসা থেকে প্রেম, প্রেম বুঝে না পিতৃপরিচয়, কষ্টিপাথরে প্রেম, বিয়ে, বাসর রাত, হানিমুন, সংসারে হাতে-খড়ি, টক ঝাল মিষ্টি, সংসারে খিটিমিটি, সংসারে তৃতীয় পক্ষ, সংসারে ঘুণপোকা, বউ শাশুড়ির রসায়ন, সন্দেহ অবিশ্বাস, সুখের সন্ধানে, সংসারের রক্ষাকবচ, দাম্পত্যে সমঝোতা, অভাবের সংসার, দাম্পত্য কলহ, অসুখি সংসার, শান্তির প্রত্যাশায়।

এই বাইশটি অধ্যায়ের প্রতিটিতেই গভীর অনুসন্ধিৎসা নিয়ে সংসার জীবনকে প্রত্যক্ষ করেছেন লেখক। সংসার জীবনের অতি তুচ্ছ ব্যাপারকেও তিনি আনুবীক্ষণিক দৃষ্টিতে দেখেছেন।

বিয়ে একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও আসাদের মাকে বলতে শুনা যায়, “বিয়ে বড় জটিল বিষয়রে বাপ। বিয়ে করে ফেলা সহজ, টিকিয়ে রাখা কঠিন, বিয়ের যন্ত্রণা সহ্য করা আরো কঠিন। ক্ষণিকের ভালো লাগায় কাউকে হুট করে বিয়ে করে ফেলা উচিত নয়। সময় নিয়ে দুজন দুজনের ভেতর বাহির আবিষ্কার করে, দুজনই স্বাবলম্বী হয়ে, তবেই বিয়ে করা উচিত। মানুষের বাইরের সৌন্দর্যটা বড় নয়, ভেতরের সৌন্দর্যটা হল আসল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার কি জানিস বাবা, বিয়ের বয়সটাতে বিধাতা চোখে একটা রঙিন চশমা পড়িয়ে দেন। এ চশমায় বাইরের রূপটা বেশি করে চোখে পড়ে, ভেতরের রূপটা ধরা পড়ে না। দুই এক বছরের মধ্যেই ভেতরের রূপ ধরা পরতে থাকে। তখন মনে হয় আহা একি করলাম! আফসোস জাগে মনে। জাগলে কি হবে, তখনিতো আর এটি পাল্টিয়ে আর একটি বিয়ে করে ফেলা যায় না।

আমাদের সমাজ কিভাবে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে গেছে তা বুঝা যায় আসাদের শ্বশুরের ঘুষকে জায়েজ করে ফেলার মধ্য দিয়ে, “যে টাকার অভাবে স্কুলের বেতন দিতে পারতো না, সে টাকা যদি উড়ে এসে পড়ে, তাহলে ধরবে না কেন? চাকরির জন্য ঘুষের টাকা যোগার করতে যার ভিটি বাড়ি বিক্রি করতে হলো, ভিটি বাড়ি বিক্রির শোকে হার্টফেল করে যার মা মারা গেলো, সেই মানুষের চাকরি হলে সে কি ঘুষ খাবে, না মধু খাবে? এমনিসব যুক্তির মাঝেই এম এফ আলী নিজে নিজেই ঘুষকে জায়েজ করে ফেলেছেন। ঘুষ এখন আর তার কাছে খারাপ কোন বিষয় না। আনন্দের বিষয়। অফিসে বসে প্রথমেই ফাইলগুলোর দিকে একবার নজর বুলিয়ে নেন। কোন ফাইল থেকে কি পরিমাণ আসবে এমন একটা হিসেবও মনে মনে করে রাখেন।”

অপরদিকে জামাই আসাদের ঘুষ না খাওয়ার অপরাধে ব্যাংকের চাকরি চলে যায়। “ঘুষ খায় কিভাবে? সে যে মুসলমান। ইসলাম ধর্মে ঘুষ নেওয়া এবং দেওয়া দুটোই হারাম। শুধু কি ধর্মের কথা? তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা যে শেষ চিঠিতে বলে গেছেন, তাঁর সন্তান যত কষ্টেই থাক না কেন, ঘুষ দুর্নীতিতে যেন জড়িয়ে না পড়ে। কিভাবে ঘুষ খায় আসাদ?”

নারীর প্রতি পুরুষের মনোভাব ব্যক্ত করতে যেয়ে লেখক বলেছেন, “আসাদ ভাবে, এমনি কত কত নারী জানি বাসর রাতেই পুরুষের পাশবিক কামুকতার শিকার হয়ে নিরবে চোখের জল ফেলেছে। সমাজ তার কষ্ট দেখেনি, পরিবার পরিজন এমনকি মা বাবা শশুর শাশুড়ি কেউ তাকে রক্ষা করতে আসেনি। কারণ সে যে ‘কবুল’ বলে ফেলেছে। ‘কবুল’ বলাতেই বাসর রাতে স্বামী কর্তৃক যৌন নির্যাতিতা হয়ে ধর্ষিতা হয়েও প্রতিবাদ করতে পারেনি নারী। ‘কবুল’ শব্দটি তার গলা টিপে ধরেছে। বরের যাবতীয় অন্যায় নির্যাতন ধর্ষণকে নির্বিবাদে নারীকে কবুল করে নিতে হয়েছে। এমনিভাবে বিয়ের বাঁধনে বেঁধে যুগে যুগে নারীর প্রতি অবিচার নির্যাতন করতে করতে পুরুষের পাপের বোঝা যেন ভারি হয়ে উঠেছে। পুরুষের হাজার হাজার বছরের অত্যাচার নির্যাতনের সুপ্ত প্রতিশোধ স্পৃহা লুকিয়ে আছে নারীর জিনে। সুযোগ পেলে সে প্রতিশোধ নিতে কি পিছপা হবে নারী? তাই আগে থেকেই সাবধান হলে ক্ষতি কি পুরুষের? নারীও যে একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ, পুরুষের হাতের পুতুল নয়, ব্যবসায়ের পণ্য নয়, ভোগের সামগ্রী নয়, এই বাস্তবতায় ফিরে আসতে যত দেরি হবে পুরুষের, ততই নিজের অজান্তেই নারীর হাতে বন্দী হবে পুরুষ।”

আবার নারী কর্তৃক পুরুষও যে নির্যাতিত হচ্ছে, কিন্তু পুরুষ সহজে মুখ খুলছে না, কারণ তার পৌরুষে বাধে, “বিধাতা মেয়েদের গায়ের জোর কম দিলেও চাপার জোর কম দেননি। বরং বেশিই দিয়েছেন। ঝগড়ার সময় স্বামীরা এক কথা বলতে বলতে স্ত্রীরা দশ কথা বলে ফেলে। স্ত্রী যখন গজড়াতে থাকে, স্বামী তখন তোতলাতে থাকে। নারীর মুখে মধু যেমন থাকে, বিষও থাকে। মধুর চেয়ে বিষ বেশি। তাই আসাদ ভাবে, মেয়েরা বোধহয় দুই জাতের হয়। মাতৃজাতি এবং স্ত্রীজাতি। মাতৃজাতি নিজের গায়ের লেপ সন্তানের গায়ে দিয়ে দেয়, আর স্ত্রীজাতি স্বামীর গায়ের লেপ নিজের গায়ে টেনে নেয়।”

দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে বলতে যেয়ে লেখক বলেছেন, “সারাজীবন একসাথে থাকলেও স্বামী স্ত্রী পরষ্পরের প্রতি খুব সুখকর মনোভাব পোষণ করে না। পুরুষের কাছে নিজের বউয়ের চেয়ে পরের বউ বেশি সুন্দরী। শুধু যে সুন্দরী তা না, কণ্ঠও অনেক মিষ্টি। কথা শুনলে শুধু শুনতেই ইচ্ছে করে। হাসিতে যেন মুক্তো ঝরে, চাহনি যেন হৃদয় কাড়ে, চলনে বলনে যেন অপ্সরী।”

নারীর ক্ষেত্রেও তাই। পৃথিবীর সকল স্বামীই ভালো, শুধু নিজেরটি ছাড়া। আল্লাহ কিযে একটা মানুষ কপালে জোটাল। মানুষ এত খারাপ হয়! পৃথিবীর সকল পুরুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ খারাপ পুরুষ হল নিজের স্বামী।’

দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে আরো বলেছেন, “ধনী গরীব নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল সংসারই সুখ দুঃখের মধ্যে দিয়ে চলে। সকল মানুষের মধ্যেই ভালো খারাপ গুণ থাকে। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে যে দম্পতি খারাপকে এড়িয়ে চলে ভালোকে শানিয়ে তুলতে পারে তারাই দাম্পত্য জীবনে সুখি হয়। এক্ষেত্রে মনকে শাসনে রাখতে হয়। একটু ফাঁক ফোকর পেলেই মন এদিক সেদিক দৌড় মারতে চায়।”

আধুনিক সভ্যতা মানুষের নগ্নতাকে যেভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটাও সংসার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসাদের জবানিতে শুনা যায়, “ওপরের দিকে সামান্য ঢাকনা থাকলেও অতি আধুনিক নারীর নিচের দিকের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। সর্ট স্কার্ট ছোট হতে হতে এত ছোট হয়েছে যে গোপন অঙ্গ আর গোপনে থাকতে চাইছে না। ঠেলে জনসমক্ষে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এসেছেও। তাই আসাদ রুষভরে বলছে, কোন সভ্যতা যদি যৌনতাকে উস্কে দেয়, উচ্ছৃঙ্খলতাকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে সে সভ্যতা, সভ্যতা নয়, অসভ্যতা। এ ধরণের সভ্যতাকে আমি ঘৃণা করি। আমি মনে করি নারীর আপাদমস্তক কাপড়ে ঢেকে দেয়া যেমন মানবিকতা নয়, তেমনি নারীর শরীর থেকে কাপড়চোপড় ঝেড়ে ফেলাও ভব্যতা নয়, চরম অসভ্যতা। মানুষের যৌন উত্তেজক পোশাক-আশাক পরিহার করা উচিত। এতে সামাজিক উচ্ছৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পায়, সমাজ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যায়। শালীন বেশভূষায় মানুষকে যেমন সুন্দর দেখায় তেমনি ব্যক্তিত্বও পরিস্ফুট করে।”

সংসার ভাঙ্গার আরো এক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইলফোন, “অফিস থেকে বাসায় ফিরে মোমেনাকে খুব একটা অবসর দেখে না আসাদ। সারাক্ষণ ফোনের সাথে লেপটে থাকে। গোপন কথা সঙ্গোপনে বলার অবাধ সুযোগ করে দিয়ে প্রেম পিরিতির রুদ্ধদ্বার যেন খুলে দিয়েছে মোবাইল।”

দাম্পত্য কলহের ব্যাপারে লেখক বলেছেন, “ঝড়ের পরেই আকাশ ধরণী উভয়েই শান্ত হয়। সুশীতল বাতাসে শরীর মন জুড়িয়ে যায়। তাই মাঝেমধ্যে ঝড় হওয়া ভালো। তবে এ ঝড়ের গতিবেগ যদি বৃদ্ধি পেয়ে ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, গাছ পালা বাড়িঘর ভেঙ্গে করে দেয় চুরমার, তখনি ঝড় হয় ক্ষতিকর।”

আসাদ মোমেনার সংসারেও একসময় ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়। সবকিছু ভেঙ্গেচুড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে চায়। তখনি শান্তির প্রত্যাশায় ছেলেমেয়ে দুটি এগিয়ে আসে। তারা একটি ছবি আঁকে, তাতে দেখা যায়, মা বাবা ছেলেমেয়ে চারজনে বসে লুডু খেলছে, হাসিখুশি। নিচে লেখা ‘সুখি সংসার’। খাতার কাগজ ছিঁড়ে তারা শ্লোগান লিখে, “ঝগড়া চাই না, শান্তি চাই/ ঝগড়ামুক্ত হাসিখুশির সংসার চাই।” অনলাইনে তারা ‘সনৈমাদ’ (সততা নৈতিকতা ও মানবতাবাদী দল ) নামে একটি দলও গড়ে তুলে, উদ্দেশ্য, দুর্নীতি দূর করে সমাজ এবং সংসারে শান্তি প্রতিষ্ঠা।

বিয়ে এবং দাম্পত্য জীবনকে সুখি এবং সফল করতে হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে। এক কথায় বলা যায়. যার সংসার আছে তার জন্যই “সংসার” বইটি।

Similar Posts

error: Content is protected !!