সংবাদদাতা ।।
তূর্য ও কেয়া। পাশাপাশি বাড়ি। পড়ত একই স্কুলের দশম শ্রেণিতে। সবসময় এক সাথেই স্কুলে যাওয়া, প্রাইভেট পড়া ও খেলাধুলার সুবাদে ওদের বন্ধুত্বও গড়িয়েছিল প্রেমে। দুজনের একসাথে চলাফেরা, নিজেদের মাঝে বোঝাপড়াটা হয়তো এলাকার অনেকেরই ঈর্ষণীয় হয়েও উঠেছিল। এক সড়ক দুর্ঘটনা তাদের সম্পর্কটা বেশি দূর গড়াতে দিলো না। হঠাৎ এক অজানা ছন্দপতন ঘটলো। শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর মোনায়েম হোসেন তূর্য মৃত্যুবরণ করে। নিভে গেলো একটি সম্ভাবনার প্রদীপ। সমাপ্তি ঘটলো একটি নিষ্পাপ ভালোবাসার। তূর্য স্থানীয় ডাঁসমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বিনোদপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি ইটবাহী ট্রাক তূর্যকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেয়া হলে ঘণ্টাখানেক পরে মারা যায় তূর্য। তার লাশ বাড়িতে আনার খবর পেয়ে তূর্যর বন্ধু কিশোরী কেয়া সবার অগোচরে নিজ ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।