মো: হেলাল উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পোস্ট অফিসের বেহাল অবস্থা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর পর নিকলীর ইশ্বরচন্দ্র কর্মকার প্রায় ২৫ শতাংশ ভূমি পোস্ট অফিসের জন্য দান করেন। সে সময় একটি টিনের ঘরের মধ্যে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের ছয়টি পোস্ট অফিসে দেশী-বিদেশী চিঠিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র উপজেলার এ টিনের ঘরে বসে ডেলিভারির কাজকর্ম পরিচালিত হতো। কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯৮৪ সালে কর্মকর্তাদের আবাসিক রুমসহ টিনের ঘরটি ভেঙে একটি দালান (ভবন) নির্মাণ করা হয়।
পোস্ট অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজন দীর্ঘদিন যাবত অভিযোগ করে আসছেন, পোস্ট অফিস ভবনের চারটি পিলারসহ ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে এবং ভবনের ছাদের প্লাস্টার ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, পোস্ট অফিসে কাজে এলে আতংকের মধ্যে সময় পার করতে হয়। কোন সময় জানি মাথার উপর ছাদের প্লাস্টার ভেঙে পড়ে।
সূত্রে জানা যায়, একদিন টাকা জমা দিতে এসে এক গ্রাহকের মাথার ওপর পোস্ট অফিসের ফ্যান ছাদের প্লাস্টার ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান দামপাড়া গ্রামের উছমান গনি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ এম রহুল কুদ্দুস ভূঞা জনির সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব পেয়েছি। পোস্ট অফিসের অবস্থার কথা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমাদের নিকলী-বাজিতপুরের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আফজাল হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে ভবনটি পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।
কথা হয় উপজেলা পোস্ট মাস্টার নুরুজ্জামান ভুঞার সাথে। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ভবনটির প্লাস্টার খসে খসে পড়ে যাচ্ছে। অল্প বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে। অনেক সময় কাগজপত্র ভিজে যায়। আমাদের ঝুঁকির মধ্যে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। মনের ভেতর সব সময় আতংক কাজ করে, কোন সময় কি হয়! জেলা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেলকে বিষয়টি অভহিত করা হয়েছে। তিনি ভবনটি পরির্দশন করেছেন।