আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের দরগা বাজার এলাকায় বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদ ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এবং সাবেক এমপি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনিযুক্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এদিকে, প্রতিপক্ষের প্রতিরোধের মুখে উপজেলা সদরে অবস্থান নিতে না পেরে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের দরগা বাজার এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভা আহ্বান করেন অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। এ খবরে বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে এমপি নূর মোহাম্মদের সমর্থক নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দরগা বাজারে গেলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ তলব করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে অবস্থিত হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহার আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ পুলিশের রাবার বুলেটে কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, এমপির সমর্থকরা আমাদের কমিটির সভা বানচাল করতে এ হামলা করেছে। এতে আমার পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত এবং কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে জানতে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য (কটিয়াদি ও পাকুন্দিয়া) নূর মোহাম্মদের মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সূত্র : জাগোনিউজ২৪