আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গভীর রাতে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মা ও সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে নবজাতকটির সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।
এলাকাবাসী জানায়, রোববার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা এলাকার রাস্তায় সন্তান প্রসব করেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে নবজাতকসহ ওই নারীকে করিমগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
করিমগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান আল তুরাবী বলেন, রাত দেড়টার দিকে মা ও নবজাতককে হাসপাতালে আনা হয়। মায়ের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। নবজাতকটিও বেশ দুর্বল ছিল। আমরা চিকিৎসা দিয়ে তাদের সুস্থ করি।
এদিকে ফুটফুটে নবজাতকটির ঠাঁই হয়েছে থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসায়। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নবজাতকটির সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী লাইজু আক্তার।
এ বিষয়ে মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ও তার সন্তানকে হাসপাতালে আনা হয়। ওই নারী তার বাচ্চার কাছে আসছেন না। হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চাইছেন। তাই প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে আমার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী লাইজু আক্তার বলেন, আমার দুটি কন্যাশিশু আছে। এই নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে মনে হচ্ছে নিজের সন্তান। আমি আমার ননদের জন্য শিশুটিকে দত্তক নিতে চাই। এজন্য নিয়ম মেনে আবেদন করা হবে। শিশুটিকে পেলে খুবই আনন্দিত হবো।
এদিকে নবজাতকটিকে অনেকেই দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন, নবজাতকটির বিষয়ে উপজেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র : জাগোনিউজ২৪