আলো দেখছে না করিমগন্জ-শহরমূল-নিকলী সংযোগ সড়ক

আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
দীর্ঘ ১৬ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি আলোচিত করিমগন্জ-শহরমূল-নিকলী সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। সড়কটি নির্মাণ হলে নিকলী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নসহ ভাটি এলাকার মিঠামইন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের পথ সহজ ও দ্রুত হবে। সারা বছর ব্যবহার উপযোগী রাস্তাটি নির্মাণ এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। বাস্তবায়নের আশায় চেয়ে আছে নিকলীবাসী।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে সড়কটির পরিকল্পনা নেয়া হয়। এই পরিকল্পনাটি সর্বপ্রথম গ্রহণ করেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নিকলীর কৃতি সন্তান কারার মাহমুদুল হাসান। ভাটি এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ এই রাস্তাটি উপজেলা সদর থেকে বড় হাওরের ওপর দিয়ে গুনধর ইউনিয়নের মদন কিশোরগন্জ সড়কে গিয়ে শেষ হবে। এ লক্ষে ৫৯ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। তবে এতে সে সময়ের করিমগন্জের সংসদ সদস্যের আপত্তি থাকায় এটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে বর্তমান রাষ্টপতি আবদুল হামিদের সুপারিশে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যায়। পরে সড়কটি সরকারের এডিপিভুক্ত হয়। এর পর ২০০০ সালের ২৬শে জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ সভায় (একনেক) তৎকালীন যোগাযোগ সচিব রেজাউল হায়াত প্রকল্পটি উত্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাস করে দেন। এর পর সড়কের কাজ শুরু হয়। সোয়াইজনী নদীতে ব্রীজও তৈরি করা হয়।

কিশোরগন্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্য ৭৪ লাখ মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়। এত কিছুর পরও কেবল সরকার পটপরিবর্তন হলে সড়কের কাজ স্থগিত হয়ে পড়ে। অনধিক ৪ বছরের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলে ১৬ বছর পর আজো সড়কটি হয়নি। অপেক্ষার প্রহর গুনছে মানুষ।

কথা হয় উপজেলার ব্যবসায়ী সানির সাথে। তিনি জানান, এই সড়কটি নির্মাণ হলে আমাদের খুবই উপকার হতো। সারা বছরই দ্রুত সময়ে জেলা শহরে আসা-যাওয়া সহজ হবে। মজলিশপুর শহিদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, সড়কটি দ্রুত নির্মাণ করা দরকার। এর মাধ্যমে ভাটি এলাকার যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যবসা, কৃষি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

Similar Posts

error: Content is protected !!