কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জ শহরে এক পৌর কাউন্সিলর জায়গার মালিকানা দাবি করে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। এ নিয়ে শনিবার ২১ মে বিকালে জেলা প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শহরের একরামপুর এলাকার আযান মটরসের মালিক গোলাম মোস্তফা পারভেজের পাঠ করা লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শহরের একরামপুর এলাকায় তারা কয়েকজন ব্যবসায়ী ১৫ থেকে ১৮ বছর যাবত ডা. কামরুল আহসান নামে একজনের কাছ থেকে অগ্রীম জামানত ও মাসিক ভাড়ায় দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরজুর নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ১৭ মে হামলা চালিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালামাল ভাংচুর করে। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আটো পার্টসের দোকান আলম এন্টারপ্রাইজের প্রায় পাঁচ লাখ টাকার, টায়ারের দোকান সজিব ভলকানাইজিং স্টোরের প্রায় তিন লাখ টাকার, জাহাঙ্গীর আলমের ভিডিও গেমসের দোকানের প্রায় দেড় লাখ টাকার, দয়াল চন্দ্র শীলের সেলুনের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আরো অন্তত চারটি দোকানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। আযান মটরসেও একাধিকবার হামলা চালিয়ে এর মালিক গোলাম মোস্তফা পারভেজকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে হামলাকারিদের সস্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে বলা হয়, ব্যবসায়ীদের কেউ ১৫ বছর, কেউ ১৮ বছর ধরে ডা. কামরুল হাসানের কাছ থেকে দোকান অগ্রীম জামানত ও ভাড়ায় নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। মালিকের সাথে তাদের কারোরই কোন বিরোধ নেই। অথচ এখানে ওয়ারিশের কাছ থেকে একখণ্ড ভূমির ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবি করে কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরজু এ ধরনের হামলা চালিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ভাংচুরের আগে ব্যবসায়ীদের কোনরকম অবহিতকরণ বা নোটিশও করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। হামলাকারিরা ব্যবসায়ীদের জীবিকার ওপর হাত দিয়েছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা এর প্রতিকার দাবি করেছেন। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।