নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
নিকলী পূর্ব গ্রামের রাসেল। তিনি মিঠামইন নৌকাডুবির একজন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানান, ২৮ মে শনিবার রাত। মিঠামইন উপজেলায় ৫ম ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনের কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনশেষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে যার মতো চলে গেছেন। তবে এর মাঝে কিছু আনসার এবং দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তি রয়ে গেছেন। রাত পোহালে তারাও চলে যাবেন বাড়িতে। এমন কিছু আনসার ছিলেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা নিকলীর। রাত বেশি হওয়ায় হাওর পেরিয়ে আসতে তাদের সাহস হয়নি। তাই নিকলীর কিছু আনসার সদস্য সিদ্ধান্ত নেন ভোর হলে নৌকা ছেড়ে দেবে।
তখন রাত প্রায় ৪টা। আনসার সদস্যদের বাইরে কিছু লোক খবর পেলো একটি ট্রলার নিকলীতে যাবে। এমন খবরে হুমড়ি খেয়ে নৌকাতে উঠতে শুরু করে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ নৌকাটি ডুবতে লাগলো। টের পেয়ে অনেকে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলো। কিন্তু ক’জন ঘুমিয়ে ছিল নৌকার ভিতরে। এজন্য টের পাননি। আর এভাবেই সলিল সমাধি হলো নিকলীর ৫ নারী আনসার সদস্যের। এরা হলেন উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের বিউটি, সাহেবহাটির সাবিনা, কামালপুরের হাসনা আরা, জারুইতলার আম্বিয়া বেগম, সাজনপুর গাছতলার মোমেনা। চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলো না ফেরার দেশে।