নিজস্ব সংবাদদাতা ।।
এ.এম শামছুল হক। নিকলী সদর ইউনিয়নের পূর্বগ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। স্থানীয়ভাবে তিনি “হক সাহেব” নামে পরিচিত। তিনি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও পুরান ঢাকার প্রাচীন মুসলিম হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। উপমহাদেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২২ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের হাতেগোনা কয়েকজন মুসলিম শিক্ষিতের মধ্যে তিনি একজন।
তিনি ভারতবর্ষের প্রাচীন দল কংগ্রেস-এর মুম্বাই শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হায়দ্রাবাদের শেষ বাদশাহ নিজামের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। গান্ধী, নেহেরু বাহিনীর আক্রমণে বাদশাহ নিজামের পতন হলে মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে, সহায় সম্পত্তি ফেলে পূর্বপুরুষের ভিটা নিকলীতে চলে আসেন।
১৯৭১ সালের ৪ জুন নিকলীর এ কৃতি সন্তান মৃত্যুবরণ করেন। তার ৩ ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছেন। সন্তানদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে সলিমুল হক সেলিম নিকলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। দ্বিতীয় ছেলে সাজ্জাদুল হক এডভোকেট। ছোট ছেলে শওকতুল হক এডভোকেট (সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল)। প্রতি বছর এই দিনে গ্রামের বাড়ি নিকলীতে দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালিভোজের আয়োজন করা হয়। আজ এ উপলক্ষে নিকলীতে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে।