নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
১৮নং পাড়দিয়াকুল প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থাপিত হয় ১৯৩৭ সালে। পুনঃনির্মাণ করা হয় ১৯৮০ সালে। বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুতি নদী। চারপাশ গোছানো ছিমছাম, শুধু গোছানো নেই আমাদের বিদ্যালয়টি।
অবহেলিত এই জনপদের বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। মোট ৩/৪ শতাংশ জায়গায় অবস্থিত। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন অতিরিক্ত কোনো জায়গা নেই। নেই কোন খেলার মাঠও।
স্কুলের জন্য জমিদাতা মারা গেছেন অনেক আগেই। তার ছেলে মাছুম ভূঁইয়া বিদ্যালয়টির পক্ষে সরকারের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। আর এ জন্যই বিদ্যালয়টি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করতে পারছেন না।
কয়েক বছর আগে টাকা বরাদ্দ এসেছিল। এলাকাবাসী জোটও বেঁধেছিল স্কুল করার জন্য কিন্তু স্থানীয় দু’একজনের বাধার কারণে তা আর হলো না।
বিদ্যালয়টিতে ৫৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। বেঞ্চ ৩৫টি, চেয়ার ১০টি, ব্ল্যাকবোর্ড ৪টি। পতাকা উঠানোর জন্য কোনো ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড নেই। নেই টয়লেটও।
বিদ্যালয় ভবনটি এক কক্ষবিশিষ্ট। জানালা ৯টি, দরজা ৩টি। বিদ্যুৎ নেই। চৈত্রের কাঠফাটা গরমেও শিক্ষাথীদের ক্লাস করতে হয় প্রকৃতির দেয়া বাতাসের ওপর নির্ভর করেই। কি যে কষ্ট হয় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে, তা বলে বুঝানো কঠিন। ওদের যখন বাথরুমের চাপ আসে তখন রাস্তার পাশ অথবা নদীর তীরই থাকে একমাত্র ভরসা। আর মেয়েরা বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কারো বাড়ি ও সুফি আপার বাড়িতে।
পরবর্তী ক্লাস নেয়ার জন্য শিক্ষকরা বাইরে বসে ক্লাসের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
একটা শ্রেণী থাকায় কিছু ক্লাস বাইরে নিতে হয়। বৃষ্টি আসলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু হয়।
এতসব সমস্যা মাথায় নিয়ে এগিয়ে চলা বিদ্যালয়টির ফলাফল খুব ভালো। প্রতিবছরই জিপিএ-৫ পেয়ে থাকে। এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে স্থানীয় নীতি-নির্ধারকসহ সরকারি কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন।