করোনা : ঈদ জামাত হচ্ছে না ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

করোনা বদলে দিচ্ছে ২৭০ বছরের ইতিহাস। ১৯১ বছর আগে শুরু হয়েছিল ঈদের বড় জামাত। এরও দু’শ বছর আগে থেকে এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরপর নানা প্রতিকূল সময় কেটেছে। কিন্তু ঈদের জামাতে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে এবার প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান খালি থাকছে ঈদের দিনেও। থাকছে না সেই চিরচেনা কোলাহল। লাখো মানুষের মুখরতা।

চলমান করোনা মহামারিতে এবার হচ্ছে না দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত। করোনা বিস্তার রোধে খোলা মাঠ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন। সে প্রেক্ষিতে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের জামাত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবার শোলাকিয়া ঈদগাহে ১৯৩তম ঈদুল ফিতরের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে সারাদেশে খোলা মাঠ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদগাহ কমিটির সভা করাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কমিটির সভাপতি হিসেবে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ইমাম-ওলামাদের সঙ্গে মিটিং করা হবে।

প্রতি বছর শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নেয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে দেশ-বিদেশের তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মুসল্লি একসঙ্গে শোলাকিয়ার বিশাল প্রান্তরে নামাজ পড়েন। এখানে একটি মাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশাল প্রান্তরে সব মুসল্লি যাতে নামাজ শুরুর মূহুর্তটি জানতে পারেন এ জন্য নামাজ শুরুর আগে বেশ কয়েকবার বন্দুকের গুলি ছোড়া হয়। সব শেষ জামাত শুরুর এক মিনিট আগে গুলি ছুড়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি ঘোষণা করা হয়।

সূত্র : জাগোনিউজ২৪

Similar Posts

error: Content is protected !!