বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বাল্য বিয়ে ও যৌন হয়রানিকে “লাল কার্ড” দেখালেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর দুপুর ১টায় উপজেলার জারইতলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বাল্য বিয়ে ও যৌন হয়রানিকে “লাল কার্ড” বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় এ কার্ড দেখানো হয়।
জানা যায়, বাল্য বিয়ে ও যৌন হয়রানির দিক দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে পিছিয়ে থাকা নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়ন। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় শুধু জারইতলা উচ্চ বিদ্যালয়েরই ৯ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ৯ জনেরই পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার কারণ বাল্য বিয়ে। এছাড়াও এ ইউনিয়নটিতে বাল্য বিয়ে ও যৌন হয়রানির প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
“লাল কার্ড” দেখানোর পর জারইতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বাতেনের সভাপতিত্বে ও কিশোরগঞ্জ জেলা ফেসিলিটেঁর মমিন হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রৌশন আরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা, জারইতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বাদল, জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মানিক, ইউনিয়ন বিবাহ রেজিস্টার ও কাজী মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
এ সময় বিদ্যালয়ের দেড় সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবক এক সাথে “লাল কার্ড” উঁচিয়ে বাল্য বিয়ে ও যৌন হয়রানিকে “না” বলেন।