নিকলীতে যে কারণে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা

piranha nikli bazar

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

বড় আকৃতির যে দাঁত দেখে সহজে নিষিদ্ধ পিরানহাকে চিহ্নিত করতে পারেন ক্রেতা, সেই দাঁত কায়দা করে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। বিশেষ প্রজাতির রুপচাঁদা বলেই চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। দেখতে পিরানহার মতো মনে হলেও দৃশ্যমান বড় দাঁত না থাকায় ক্রেতারাও বিভ্রমে পড়ে যাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে স্বল্প আয়ের গ্রামীণ জনপদের বাজারগুলোতে এভাবেই বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা সদরের পুরান বাজার মাছমহালে দেখা মেলে পিরানহা মাছের। বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ২/৩টা করে পিরানহা মাছ স্টিলের বড় থালায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মাছের নাম জিজ্ঞেস করতেই মাছ ব্যবসায়ী পরিমল বর্মণ জানালেন রুপচাঁদা বলে। দাম প্রতিটি ২শ টাকা।

piranha nikli bazar

পিরানহা কি না এমন প্রশ্নে পরিমল এ প্রতিবেদককে জানান, পিরানহার সামনে বড় দাঁত থাকে। এগুলোর নেই। এইগুলো চাষকৃত রুপচাঁদা।

কোথায় চাষ হয় জানতে চাইলে পাশের আরেক মাছ ব্যবসায়ী স্বপন বর্মণ জানান, কোথায় চাষ হয় জানি না। তবে আমরা পার্শ্ববর্তী বাজিতপুর উপজেলার মৎস্য আড়ৎ থেকে সংগ্রহ করি। নাম না জানা আরেক মাছ ব্যবসায়ী জানান, উপজেলার প্রায় সব বাজারেই এসব মাছ বিক্রি হয়। দামে সস্তা হওয়ায় গ্রামে-গঞ্জের মানুষ কিনেও থাকেন।

নিকলী উপজেলা মৎস্য অফিসে মাছের ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলে মাছগুলো পিরানহা বলেই অনুমান করা হয়। দাঁত না থাকার প্রশ্নে ক্ষেত্র সহকারী আল আমিন জানান, দাঁত ভেঙ্গে বাজারে তোলা হয়ে থাকতে পারে। এ আর এমন কি কঠিন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়াউল হক অফিসে ফিরলে খুব শীঘ্রই বাজার পরিদর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Similar Posts

error: Content is protected !!