আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আকর্ষণীয়, মজার, ঐতিহাসিক– জার্মানিতে রয়েছে এমনই কিছু ব্রিজ। ছবিঘরে থাকছে সে সবের কথা।
সবচেয়ে প্রাচীন
জার্মানির সবচেয়ে প্রাচীন এই সেতুটি ট্রিয়ার শহরে মোজেল নদীর ওপর অবস্থিত। শুরুতে এটা কাঠের তৈরি ছিল। এরপর রোমানরা সেটাতে পাথর আর শিলার ব্যবহার করে। ছবিতে যে পাথরের পিলারগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো প্রায় ১,৯০০ বছর আগের! আর ওপরের অংশটায় প্রথম সংস্কার করা হয় আটশো বছর আগে আর দ্বিতীয়বার প্রায় দুশো বছর আগে।
সেতুর নীচে বিস্ফোরক!
এই ব্রিজটি জার্মানির মূল ভূখণ্ডকে বাল্টিক সাগরে অবস্থিত ফেমান দ্বীপের সাথে যুক্ত করেছে। ১৯৬৩ সালে শীতল যুদ্ধের সময় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় সম্ভাব্য আক্রমণের কথা মাথায় রেখে ব্রিজের নিচে বিস্ফোরক জমা করে রাখা হয়েছিল।
ব্রিজের সড়কের দুপাশে দোকান
এয়ারফুর্ট-এর পায়ে হাঁটা এই সেতুর দুপাশে রয়েছে গ্যালারি আর বিভিন্ন শিল্পকর্ম বিক্রির দোকান। প্রতিটি দোকানের অর্ধেক অংশ কাঠের তৈরি। প্রায় আটশো বছর আগে যখন ব্রিজটি তৈরি হয় তখন সেখানে মুদি দোকানিরা পণ্য বিক্রি করতেন।
সেতুর সড়কে ছাদ!
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ১২৭২ সালে তৈরি এই কাঠের ব্রিজটিতে ছাদ রয়েছে। সে সময় নির্মিত অনেক কাঠের সেতুতেই নিরাপত্তাজনিত কারণে এমনটা করা হতো। মজার ব্যাপার হলো এই সেতু পাড়ি দিয়ে আপনি জার্মানি থেকে সুইজারল্যান্ডে চলে যেতে পারবেন!
বিশ্বের সবচেয়ে বড়
স্যাক্সনি ও বাভারিয়া রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত এই ব্রিজটি ইট দিয়ে তৈরি। এখনো পর্যন্ত ইটের তৈরি এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু। ১৮৫১ সালে নির্মিত হওয়ার সময় ব্রিজটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বাও ছিল।
প্রকৃতির মাঝে সেতু
ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই ব্রিজের অবস্থানটা কোথায়। ১৮৫১ সালে তৈরি হওয়া এই সেতুর কারণে পর্যটকরা এমন সব পাহাড়ি এলাকায় যেতে পারছেন না যেটা এমনিতে সম্ভব হত না।
ওপরে ট্রেন, নিচে গাড়ি
১৯৬১ সালে যখন বার্লিন প্রাচীর তৈরি হয়েছিল তখন এই ঐতিহাসিক ওবারবাউম ব্রিজটি শহরকে পূর্ব আর পশ্চিমে বিভক্ত করা সীমান্তের একটা অংশে পরিণত হয়েছিল। এই ব্রিজে দুটো রাস্তা রয়েছে। ওপর দিয়ে চলে ট্রেন আর নিচ দিয়ে গাড়ি।
পানি ব্রিজ!
ফেসবুকের কল্যাণে অনেকের কাছেই পরিচিত এই ছবিটি। এটি মাগডেবুর্গ ওয়াটার ব্রিজ। পানির ওপর স্থাপিত এই সেতুর রাস্তাও পানির! অর্থাৎ এই সেতু দিয়ে চলে জাহাজ। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৩ সালে। মূলত পণ্যবাহী জাহাজের রুট সংক্ষিপ্ত করতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সেতু এক, দেশ তিন!
নাম ‘থ্রি কান্ট্রিস ব্রিজ’। বুঝতেই পারছেন তিন দেশে এই সেতুর অবস্থান। জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড। ২৪৮ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি শুধু পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেল চালিয়ে পার হওয়া যায়। কোনো ধরনের গাড়ির প্রবেশ নেই সেখানে।
সূত্র : জার্মানির কিছু আকর্ষণীয় সেতু [ডয়চে ভেলে, ২৭ জুন ২০১৭]