আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী গ্রামের দুই কিশোরীকে ভারতে পাচারের সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দেলোয়ার (৩০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। কটিয়াদী থানার ওসি মো. জাকির রব্বানীর নেতৃত্বে এসআই আসাদুজ্জামান এই উদ্ধার ও আটক অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়া পাচারচক্রের অপর সদস্য দোলেনা বেগম (২৫) কে উপজেলার লোহাজুরী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের হতদরিদ্র কন্যা খাদিজা (১৪) ও মঞ্জিল মিয়ার কন্যা বিউটি (১২) কে গত ৩০ জুলাই রাজধানী ঢাকায় ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিভাবকের কাছ থেকে দেলোয়ার ও দোলেনা ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরের দিন ৩১ জুলাই খাদিজা তার এক আত্মীয়ের মোবাইল ফোনে মা ফিরোজার কাছে সীমান্ত এলাকায় আটক থাকার বিষয়টি জানায়। ফিরোজা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাহার উদ্দিন ভূঞার মাধ্যমে কটিয়াদী থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন। কটিয়াদী থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী বেনাপোল পোর্ট থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে মোবাইল ফোনে কৌশলে পাচারকারী দেলোয়ারকে বেনাপোল থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটক করে রাখা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই কিশোরীকে পাচার করার সময় বিজিবির টহলদল দুই কিশোরীকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করে। কটিয়াদী থানা পুলিশ বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে আটক পাচারকারী দেলোয়ার এবং দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে কটিয়াদী থানায় নিয়ে আসে। পরে দুই কিশোরী পাচারের ঘটনায় জড়িত দোলেনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার কিশোরগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় দোলেনা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া পাচারকারী দেলোয়ার বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে স্বীকার করে, কিশোরীদেরকে প্রথমে দোলেনার কাছে পরে ভারতে পাচারের জন্য বেনাপোলের হাছানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী বলেন, বিষয়টি আমি মনিটরিং করছি। এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নারী পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র : কটিয়াদীর দুই কিশোরীকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার, দুই পাচারকারী আটক [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ৩ আগস্ট ২০১৭]