নিকলীতে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

নিকলী থানা পুলিশের এক মামলার বাদী কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে প্রতিপক্ষ এক মামলার বাদী ও তার স্বজনদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন দাখিল করেছেন মো. আলম (৪২) নামের এক ব্যক্তি ও নিকলী থানায় মামলা নং-২(৭)২০১৭ এর বাদী।

এলাকাবাসি ও আবেদন সূত্রে জানা যায়, নিকলী উপজেলা সদরের মাইজহাটি গ্রামের কিনু মিয়ার ছেলে আলম (৪২) ও একই এলাকার সুলমানের ছেলে ও যুবদল নেতা স্বাধীন (৪০)-এর মধ্যে কলহ চলছিলো। গত ২৪ জুন শনিবার স্বাধীন ও তার কয়েক সহযোগী স্বস্ত্রীক বাজারে যাবার পথে মো. আলমকে ৫ মুখবিশিষ্ট টেঁটার আঘাতে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনায় আহত আলম বাদী হয়ে স্বাধীনকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি স্বাধীন গং প্রতিপক্ষ আলম ও তার স্বজনদের ফাঁসাতে গত ১৭ জুলাই রাতে তার মামা মো. শহীদ ওরফে শহু (৪৫)-এর মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি করে। মো. আলমসহ ১১ জনকে আসামি করে ১ আগস্ট নিকলী থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-১(৮)২০১৭। নিকলী থানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্যে যায়। এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান। থানা কর্তৃপক্ষ বাদীপক্ষে প্রভাবিত হয়ে মামলাটি এফআইআর করে হয়রানি করছেন বলে মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়টি আবেদনে উল্লেখ করেন।

মো. আলম জানান, স্বাধীন আমার দায়েরকৃত মামলার মূল আসামি। অদ্যাবধি আদালতে হাজির হয়নি। থানা পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। স্বাধীন গংয়ের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় আমার ছোট ভাই ফজর আলীসহ আদালত থেকে জামিন নিয়েছি। ৩ আগস্ট হাজিরা সংক্রান্ত কাগজপত্র থানায় জমা দেয়া সত্ত্বেও একই দিন রাতে ফজর আলীকে (৩০) এসআই জামাল উদ্দিন অন্যায়ভাবে আটক করে। ১০ আগস্ট মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপার বরাবরে মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আবেদনটি দায়ের করি।

Similar Posts

error: Content is protected !!