আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের ইটনায় নিজ বাড়িতে সরুফা আক্তার (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে সিদ্দিক মিয়া (৩২) নামের এক যুবক। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর সকালে জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্কুলে যাওয়ার পথে শ্লীলতাহানী করায় ভাইয়ের নামে মামলা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সিদ্দীক মিয়া এই ঘটনা ঘটান বলে মেয়েটির পরিবার জানায়।
সরুফাকে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সরুফার মাথায়, হাতে ও পিঠে চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথায় নয়টি ও বাম হাতে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত।
সিদ্দীক মিয়ার আক্রমণের হাত থেকে সরুফা আক্তারকে রক্ষা করতে গেলে সরুফার মা আমেনা বেগম (৫৪), ছোটভাই মাদরাসার ছাত্র মুস্তাকিম (১৩) এবং মোজাম্মেলও (১০) আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আক্রমণকারী সিদ্দিক পাগলশী গ্রামের দয়াল মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
সরুফার বাবা পাগলশী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাশিদ জানান, তার মেয়ে স্থানীয় জয়সিদ্ধি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। সিদ্দীক মিয়ার ছোটভাই ও দয়াল মিয়ার ছোট ছেলে মাঈনুদ্দীন (২৫) অনেকদিন ধরেই তার মেয়ে সরুফাকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতো। একসময় সরুফা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিদ্দীকের ছোট ভাই গত ২ জুলাই বুধবার বিকেল তিনটার সময় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে সফুরাকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী সরুফাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সরুফার মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত আগস্টে ৭/৯ এর ৪(খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর থেকেই ছাত্রদল নেতা সিদ্দিক মামলা তুলে নেয়ার জন্য বহুবার হুমকি দিয়েছে। মামলা তুলে না নেয়ায় বাড়িতে এসে সরুফাকে নির্দয়ভাবে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভিকটিমের পরিবার। সিদ্দিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র : ইটনায় মামলা করায় স্কুল ছাত্রীকে কোপালো ছাত্রদল নেতা [ওয়ান নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭]