আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব কিডনি দিবস। আবার আজ নারী দিবসও। এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি, সুস্থ নারী’। সারা বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি নারী কিডনির সমস্যায় ভুগছে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. হারুন অর রশিদ। বর্তমানে তিনি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নারীদের কী বেশি মাত্রায় কিডনি রোগ হচ্ছে?
উত্তর : সারা বিশ্বে প্রায় ২০ কোটির মতো নারী কিডনি রোগে ভুগছে। এই কিডনি রোগীদের প্রায় ছয় লাখ প্রতিবছর মারা যায়। যেসব কারণে সাধারণত মৃত্যু হয়, এর মধ্যে কিডনি রোগ অষ্টম। আমরা জানি নারীদের পুরুষের তুলনায় কিছু কিছু কিডনি রোগ বেশি হয়। যেমন ধরা যাক, ইউরিন ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা প্রস্রাবের প্রদাহ। এটি কিন্তু শিশু বয়স থেকে একেবারে ৭০/৮০ বছর পর্যন্ত হয়, নারীরাই কিডনি রোগে বেশি ভোগে। শিশু বয়সে কিডনি রোগের যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে শিশুটির বয়স বাড়ার পর তার উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। আর ২০ থেকে ৫০ বছরের যেসব নারী ইউরিন ইনফেকশনে ভোগে, সেটা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। যন্ত্রণাগুলো নিরাময় করা যায়। সেটা কিডনির তেমন কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু শিশু বয়সটা সত্যি সত্যি মারাত্মক। আর বয়স বেড়ে গেলে মেয়েদের সাধারণত প্রস্রাবের সমস্যা বেশি হয়। তাদের প্রস্রাব ঝরে পড়ে। কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এটি বাদ দেওয়ার পর আমরা দেখেছি একটি মেয়ে যদি ছোটবেলা থেকে মুটিয়ে যায়, যাকে আমরা বলি ওবেসিটি, তাহলে পরে তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বেশি হয়। সঠিক চিকিৎসা যদি না নেওয়া হয়, ডায়াবেটিস যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ যদি বেশি থাকে, তাহলে কিন্তু তার ৮-১০ বছর পরে কিডনি ক্ষতি হতে থাকে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। পরে তার কিডনি ফেইলিউর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার কিছু নেফ্রাইটিস রয়েছে, একটি নেফ্রাইটিস রয়েছে যাকে আমরা বলি সিস্টেমিক লুপাস ইরেথ্রোমেটোসাস। এখানে মুখে র্যাশ হয়। তরুণ বয়সে আর্থ্রাইটিস হয়। এই রোগের ১০ ভাগের ৯ ভাগই নারীদের হয়। বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস নারীদের বেশি হয় পুরুষের চেয়ে। এই জাতীয় রোগে নারীদের যদি আটজন ভোগে, পুরুষের ক্ষেত্রে হয়তো ছয়জন ভুগবে।
সূত্র : ‘সারা বিশ্বে ২০ কোটি নারী কিডনি রোগে ভুগছে’ [এনটিভি অনলাইন, ৮ মার্চ ২০১৮]